প্রশাসনে কোটা পদ্ধতি বাতিল হবে কবে

কালের কণ্ঠ সফিক ইসলাম প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৩

সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তা-ই পরবর্তীকালে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে রূপ নেয়। ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের ফলে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয় এবং দেশে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। একটি বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের প্রতি রয়েছে দেশের সব স্তরের মানুষের নিরঙ্কুশ সমর্থন।


প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগদানের জন্য উপযুক্ত ব্যক্তিদের মনোনয়ন দেওয়ার উদ্দেশ্যে যাচাই ও পরীক্ষা পরিচালনাকারী সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হলো সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

কিন্তু পিএসসিকে পাশ কাটিয়ে সাধারণ মানুষের অগোচরে জন-আকাঙ্ক্ষার সম্পূর্ণ বিপরীতে আমলাতন্ত্রের উপসচিব (ডিএস) পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে চরম নৈরাজ্যকর একটি পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এই পদে নিয়োগের জন্য একচ্ছত্র ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি) নামের একটি বোর্ডকে। এই বোর্ড ভয়ংকর বৈষম্যমূলক এক কোটা পদ্ধতির মাধ্যমে উপসচিব পদে নিয়োগ দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছে। বর্তমানে উপসচিব নিয়োগের ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ পদ কেবল প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়।




বাংলাদেশে মোট ২৬টি ক্যাডার আছে। বাকি ২৫টি ক্যাডার থেকে মাত্র ২৫ শতাংশ পদে নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ থাকে। উপসচিব-পরবর্তী পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রেও এই বোর্ডের স্বেচ্ছাচারিতা নজিরবিহীন। বিভিন্ন স্বশাসিত সংস্থার সার্বক্ষণিক প্রধান পদে এবং পরিচালনা পরিষদের বিভিন্ন পদে নিয়োগের ক্ষেত্রেও তাদের রয়েছে বৈষম্যমূলক একচোখা দৃষ্টিভঙ্গি।

এই নিবর্তনমূলক কোটা পদ্ধতির কারণে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ক্যাডারের সদস্যদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে এবং সামগ্রিক আমলাতন্ত্রে এর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। উপসচিব পদে বিদ্যমান এই কোটা পদ্ধতি কেবল অন্যায় ও অগ্রহণযোগ্যই নয়, তা বর্তমান সরকারের মূলনীতি এবং চেতনার পরিপন্থীও।


উপসচিব পদে কোটা ভিত্তিক এই নিয়োগপ্রথার কুফল অনেক। একটি ক্যাডার থেকে ৭৫ শতাংশ নিয়োগ দেওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই সর্বোচ্চ মেধাবী ও যোগ্য কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ থাকছে না। ফলে জনগণ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মেধাবী ও যোগ্যদের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

মন্ত্রণালয়ে প্রশাসন ক্যাডারের একচ্ছত্র আধিপত্য ও দখলদারির ফলে রাষ্ট্রের বিভিন্ন উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। আন্ত ক্যাডার সম্প্রীতির পরিবর্তে আন্ত ক্যাডার বিভাজন তৈরি হয়েছে। অন্য ক্যাডারের সদস্যদের মধ্যে প্রবল অসন্তোষ ও হতাশা বিরাজ করছে। একটি ক্যাডারের সদস্যদের রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ স্তরে নিয়োগলাভের মাত্রাতিরিক্ত সুযোগ থাকায় স্বজনপ্রীতি, ঘুষ ও দুর্নীতি, দলীয়করণের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। দেশে একটি ভারসাম্যহীন গণবিরোধী আমলাতন্ত্র তৈরি হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও