বিভুরঞ্জন সরকারের শেষ লেখা: অনেক প্রশ্নের সরল উত্তর

বিডি নিউজ ২৪ রাজীব নূর প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২৫, ২২:৪৩

সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকার, আমাদের বিভুদার এমন প্রস্থান আমরা কেউ মেনে নিতে পারছি না, পারার কথাও নয়।


সেই শোক চাপা দিয়ে আমাকে এই লেখা লিখতে হচ্ছে। লিখছি, কারণ সামাজিক মাধ্যমে অনেকে অনেক রকম প্রশ্ন করছেন। বিভুদার শেষ লেখা প্রকাশ করতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এক দিন সময় নিল কেন, সেই প্রশ্ন তুলছেন বহুজন। এমনকি কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবে আমাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন।


আপনারা অনেকে হয়তো বিভুরঞ্জন সরকারকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন, অনেকে চেনেন না। আমি জানি, আপনারাও বিভুদার এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না। আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগবে, আপনারা ফেইসবুকে সেই প্রশ্ন লিখবেন, সে সুযোগ সবার আছে।


বিভুদার চলে যাওয়া আমাকে এতটাই বেদনাহত করেছে, একটা লেখা লিখে তার প্রশমন সম্ভব নয়। তারপরও আমার লিখতে বসার কারণ, যারা প্রশ্ন তুলছেন, সেই প্রশ্নকর্তাদের পর্যবেক্ষণে কিছু বিষয় বাদ পড়ে যাচ্ছে। সেটা স্পষ্ট করে বলবার প্রয়োজন আমি অনুভব করছি ব্যক্তি হিসেবে, সাংবাদিক হিসেবে এবং বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের মতামত বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে।


বিভুদা চাকরি করতেন ‘আজকের পত্রিকা’য়। অন্যান্য সংবাদমাধ্যমে কলাম লিখতেন।


বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে তিনি কলাম লিখছিলেন এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। আমি আর্কাইভ ঘেঁটে তার প্রথম যে লেখাটি পেয়েছি, সেটি ২০১৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বরের।


আমি একজন লেখক হিসেবে তাকে চিনি ছোটবেলা থেকে, লেখালেখির সূত্রে, তবে তার সঙ্গে আমার মুখোমুখি পরিচয় গত শতাব্দীর শেষে অথবা এই শতাব্দীর শুরুর দিকে, ১৯৯৯ অথবা ২০০০ সালে।


বিভুদার ছোট ভাই চিররঞ্জন সরকার আমার বন্ধু। তিনিও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের মতামত বিভাগের একজন নিয়মিত লেখক। চির আমার বন্ধু বলে বিভুদাও বড় ভাইয়ের মতো হয়ে গিয়েছিলেন, তবে চির এবং বিভুদার সঙ্গে আমার সম্পর্ক যতখানি পেশাগত, ব্যক্তিগত ততটা নয়।


আমার ছোটবেলার বন্ধু তরুণ সরকারের সুবাদে পরিচয় হয়েছিল চিররঞ্জন সরকারের সঙ্গে, এক সময় চিরর সঙ্গে আমারও বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। যতদূর মনে পড়ে, চিরর সঙ্গেই ‘মাতৃভূমি’ পত্রিকার অফিসে গিয়ে বিভুদার সঙ্গে প্রথম দেখা হয়।


তাকে বলেছিলাম, বিনে পয়সায় সাপ্তাহিক ‘যায়যায়দিন’ পড়বার জন্য আমাদের ছোট শহর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেল স্টেশনের একটি বইয়ের দোকান ‘রেকটো’তে যেতাম আমরা, যে দোকানটিতে বইয়ের চেয়ে পত্রপত্রিকাই থাকত বেশি।


‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার জনপ্রিয় মিলা-মঈনের গল্পের চেয়ে আমার কাছে তারিখ ইব্রাহিমের কলাম বেশি পছন্দের ছিল, এটা বলায় প্রথম দেখায় বিভুদা একটু বোধহয় চমকে গিয়েছিলেন। হয়তো আমাকে ইঁচড়ে পাকা ভেবেছিলেন।


সত্যিটা তাই, আমি হয়তো ইঁচড়ে পাকাই ছিলাম, তাই মিলা-মঈনের প্রেমের গল্পের চেয়ে তারিখ ইব্রাহিমের কলাম আমার বেশি পছন্দের ছিল। তবে তারিখ ইব্রাহিম যে বিভুরঞ্জন সরকার, সেটি জেনেছি অনেক দিন পর, অবশ্য তার সঙ্গে প্রথম দেখা হওয়ার বেশ আগে।


সেই কিংবদন্তিতুল্য বিভুরঞ্জন সরকারের লেখা বছর দুয়েকের বেশি সময় ধরে আমার হাত হয়ে প্রকাশ হয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের মতামত বিভাগে। বোধ হয়, এই সময়কালে অন্য কোথাও এর চেয়ে বেশি লিখেননি তিনি। মাস ছয়েক ধরে তার কিছু লেখা প্রকাশ করতে পারিনি আমরা; কারণটা অনেকেই বুঝবেন।


বিভুদা তার শেষ লেখাটি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মেইল করেন ২১ অগাস্ট সকাল সোয়া ৯টায়। এখানে বলে রাখা দরকার, মতামত বিভাগের লেখা নিউজ রুমের মেইলে নয়, মতামত বিভাগেই আসে এবং সেটি আমি একাই দেখি। এরপর প্রয়োজন হলে সম্পাদনা করে দেওয়ার জন্য অন্য একজন সহকর্মীকে পাঠাই। যখন নিজে কোনো লেখা নিয়ে দ্বিধান্বিত হই, তখন প্রধান বার্তা সম্পাদকের সঙ্গে আলাপ করি।


আগের রাতে রাতভর কাজ শেষে সকালের দিকে ঘুমাতে যাই। ঘুম থেকে জেগে সাধারণত রিপোর্টিংয়ের মেইল দেখি। মতামতে তো এমন কোনো লেখা পড়ে থাকে না, যা তখনই প্রকাশ না করলে নয়। রিপোর্টিংয়ে থাকে। তবে সেদিন একই সময়ে মতামতের মেইলও খুলেছি। বেলা দেড়টার দিকে বিভুদার লেখাটা দেখামাত্র সেটি চিররঞ্জনকে ফরোয়ার্ড করি। দুপুর ১টা ৩৯ মিনিটে মেইলটা ফরোয়ার্ড করে ওকে ফোনও করি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও