শুধু ট্রাইব্যুনাল গঠনে কি মন্দ ঋণ কমবে
ওপরের প্রশ্নটির সোজা উত্তর—কমবে না। অতীতেও সংসদে মন্দ ঋণগ্রহীতাদের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। যে অর্থমন্ত্রী এটি করেছেন তাকে পরবর্তী নির্বাচনে দলের হেরে যাওয়ার জন্য দায়ী করা হয়েছে। অর্থঋণ আদালত কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। কিছু ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিম্ন আদালতে গিয়ে মামলায় জিতলেও উচ্চ আদালতে সেই অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি।
এমনও সময় আমরা পার করেছি যখন বৃহৎ ও চিহ্নিত ঋণখেলাপিদের সমর্থন ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচ্চপদে নিয়োগ দেয়া যেত না। হলমার্ক ঋণ কেলেঙ্কারির পর আমাদের নামি-দামি সাবেক ডেপুটি গভর্নর এমনকি খোদ গভর্নরও উচ্চস্বরে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কথা বললেও কাজ হয়নি। পাকিস্তানে দোর্দণ্ড প্রতাপশালী প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফ ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠিন-কঠোর পথে হাঁটতে চেয়েছিলেন, পারেননি। সেখানকার বর্তমান প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধেও বৃহৎ ঋণখেলাপিদের পক্ষে জোর তদবিরের অভিযোগ ছিল। ভারতেও বৃহৎ গ্রুপের বৃহৎ ও অযাচিত ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক কর্তাব্যক্তিদের প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ হয়েছে। সেখানে ইনসলভেন্সি অ্যান্ড ব্যাংকরাপসি কোড (আইবিসি) যদিও মন্দ ঋণ অনেক কমিয়ে এনেছে, তবে ক্ষত বা সংস্কৃতি এখনো বিদ্যমান।