ধর্ষণ বন্ধে সরকার আন্তরিক ছিল কবে?
কয়েকজন নারী বসে আছেন একটি ঘরে। এনারা কেউ কারও পরিচিত নন। এখানে আছেন মুসলিম, মারাঠি, গুজরাটি, বয়স্ক, পেশাজীবী বা ছাত্রী, গৃহিণী, কিশোরী এবং তরুণী। হঠাৎ দেখে মনে হবে বিভিন্ন বয়স, চেহারা ও কালচারের এই নারীরা এখানে কী করছেন? এরপর কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল, মেয়েগুলোর মধ্যে মিল একটাই, তা হলো, এরা প্রত্যেকেই জীবিত অবস্থায় ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। আজ সবাই তারা মৃত। ধর্ষণের আঘাত, লজ্জা, ক্রোধ বুকে নিয়ে এরা পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন।
যে জায়গাটায় এরা গা ঘেঁষে বসে কাঁদছেন, গল্প করছেন, কুঁকড়ে আছেন সেই জায়গাটি খুব ছোট। সেইখানে এই মেয়েগুলো প্রত্যেকেই প্রত্যেকের জীবনের গল্প বলছেন। বর্ণনা করছেন কে, কীভাবে, কার দ্বারা যৌন নৃশংসতার শিকার হয়েছেন। তারা তাদের অপরাধীদের পরিচয় দিচ্ছেন, তুলে ধরছেন সেইসব সত্য যা ঢাকা পড়ে গেছে। তারা জানেন নারীর পোশাক, বয়স, পেশা, চেহারা ও সামাজিক অবস্থান যাই হোক না কেন, তিনি ধর্ষণের শিকার হতে পারেন।