গণতন্ত্র সম্মেলনের ব্যবচ্ছেদ
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ৯ ও ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে গণতন্ত্র শীর্ষ সম্মেলন। ভার্চুয়াল এ আয়োজনে আমন্ত্রণ পেয়েছে বিশ্বের ১১০টি দেশ। ডাক পায়নি চীন ও রাশিয়া। কারণ, মার্কিন প্রশাসনের দাবি- তাদের স্বৈরতন্ত্রের হাত থেকে বিশ্বকে বাঁচাতেই বাইডেনের এই সম্মেলন। তবে, আমন্ত্রিত দেশের তালিকা নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরেই বিশ্বজুড়ে বইছে সমালোচনার ঝড়। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে আট দশক ধরে কাজ করা ওয়াশিংটনভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা ফ্রিডম হাউসের মতে, সম্মেলনে আমন্ত্রণ পাওয়া ১১০টি দেশের মধ্যে ৯১টিতে এখন গণতন্ত্র রয়েছে। অর্থাৎ ১৯টি দেশের গণতন্ত্র প্রশ্নবিদ্ধ বা গণতন্ত্র নেই। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাঙ্গোলা, কঙ্গো ও ইরাক।
ফ্রিডম হাউস বলছে, এ তিনটি দেশের গণতন্ত্র অবরুদ্ধ। আফ্রিকার মাত্র ১৭টি দেশ গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়েছে, যা এ মহাদেশের এক-তৃতীয়াংশ। ফ্রিডম হাউসের গণতন্ত্র সূচকে সিয়েরা লিওন, লেসেথো, মাদাগাস্কার, বেনিন ও বুরকিনা ফাসোর অবস্থান ওই ১৭টি দেশের চেয়ে ভালো হলেও তাদের কেন আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, এর সদুত্তর নেই। এশিয়ার ফিলিপাইন ও পাকিস্তানে প্রকৃত নাগরিক স্বাধীনতা নেই এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না। ভারতের গণতন্ত্রও চলছে উল্টো পথে। একইভাবে প্রশ্নবিদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাককে সম্মেলনে আমন্ত্রণ।