নিষিদ্ধ সম্পর্ক বনাম নারীর মর্যাদা
একটা মুভি দেখছি। হ্যান্ডসাম দেখছি। হ্যান্ডসাম গৃহস্বামী পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েন যিনি কিনা কলেজ পড়ুয়া একমাত্র ছেলে সন্তানের বাবা। পরকিয়া সংক্রান্ত মুভি বলে কথা! আমার উনি দেখি গোগ্রাসে গিলছেন। আবার আমাকেও অনুরোধ করলেন দেখার জন্য।
নিষিদ্ধ জিনিস মানুষকে টানে। আমিও যেনো কি এক অমোঘ আকর্ষণে বসে গেলাম নারী এবং পুরুষের নিষিদ্ধ দ্বিচারি ভূমিকার মনস্তাত্মিক আচার-আচরণের পাঁচ-মিশালী পটভূমি অবলোকন করতে। যেদিন থেকে গৃহস্বামী পরকিয়ায় জড়ালেনতো সেদিন থেকে তার আর স্ত্রীকে ভালো লাগতোনা। সময়ে স্ত্রীর প্রতি আচরণ বৈরি থেকে বৈরিতর হতে লাগলো। স্ত্রী স্বামীর প্রতি যত ভালোবাসাই দেখাতো, তা স্বামীর কাছে চরম বিরক্তিকর ঠেকতো।
প্রকৃতির কি অমোঘ খেয়াল! একদিকে স্বামীর অবহেলা, মানসিক অত্যাচার; তার উপর আবার স্ত্রীর হলো ক্যান্সার। একদিন স্ত্রী মারা গেলেন। ঘটনার ক্রমধারায় পরকিয়ায় জড়িত নারীকে ভদ্রলোক বিয়ে করলেন। এই ঘরে একটি ফুটফুটে মেয়ে হলো। বিধিবাম! আবার কিনা এই মেয়েটিরও হলো ব্লাড ক্যান্সার। এমনি করে ভদ্রলোকের আগের ঘরের ছেলে সন্তানটি তার সৎমা, ক্যান্সার আক্রান্ত ফুটফুটে ছোট সৎবোনটির সাথে এক আত্মিক-মানবিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লো।