রাশিয়া-ইউরোপ কি বিশ্বযুদ্ধের দিকে অগ্রসর হচ্ছে

www.ajkerpatrika.com আব্দুর রাজ্জাক প্রকাশিত: ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৫০

সারা বিশ্বে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। গত এক মাসের ঘটনায় পশ্চিমা দেশগুলো ভীষণ রকম উদ্বিগ্ন। এই উদ্বিগ্ন হওয়ার যতগুলো কারণ আছে তার মধ্যে অন্যতম হলো, রাশিয়ার ড্রোন পোল্যান্ডের আকাশসীমা অতিক্রম করেছে। স্বাভাবিকভাবে পশ্চিম ইউরোপের দেশের নেতারা মনে করছেন, এটা রাশিয়ার একটি মহড়া। রাশিয়া কোনোভাবেই শুধু ইউক্রেন দখল করে ক্ষান্ত হবে না, আরও পশ্চিম দিকে তারা হাত বাড়াতে পারে। তাই তৎপরতা বাড়িয়ে দিচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব। রাশিয়ার বর্তমান কার্যক্রমের ব্যাপারে সবচেয়ে সোচ্চার ব্যক্তি হলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। মাখোঁ যে মন্তব্য করেছেন সেটা খুবই ভয়াবহ। তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে উদ্দেশ করে বলেছেন, এক ভীষণ দখলদার গোটা ইউরোপকে গিলে খেতে চলেছেন।


মাখোঁ শুধু পুতিনের ওপর বিষোদগার করে ক্ষান্ত হননি। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দেশের কী করণীয়, তার ওপর বিশেষ নজর এবং নির্দেশনাও দিয়েছেন, কী কী করতে হবে। মাখোঁ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে বলে দিয়েছেন, যুদ্ধকালে হতাহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা আগে থেকে করে রাখতে। হাসপাতালে বাড়তি সিট, ক্লিনিকগুলোকে তৎপর রাখাসহ যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যে ধরনের সেবা দিতে হয়, সে ব্যাপারে অ্যালার্ট করেছেন। এই তৎপরতার অর্থ দাঁড়ায়, ফ্রান্স ইউক্রেনের পক্ষ হয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। রাশিয়া পরাজিত হওয়ার দেশ নয়, তাই তারাও তাদের নিজেদের ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে সতর্ক হয়েছে।


সম্প্রতি কোপেনহেগেনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা সভার পরে, ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী বলেই ফেলেছেন, শান্তির জন্য যদি দরকার হয় আমরা শক্তি প্রয়োগ করব। অর্থাৎ রাশিয়ার বিরুদ্ধে ডেনমার্কসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটো শক্তি সঞ্চয় করার কথা ভাবছে। এখন ইউরোপিয়ান দেশগুলো যদি রাশিয়ার বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শন করে, সেটা শান্তির পরিবর্তে অশান্তিই ডেকে আনবে। ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশগুলোর সামরিক শক্তি আমেরিকাকে বাদ দিয়ে, রাশিয়ার চেয়ে কম। তাই তারা এখন উঠেপড়ে লেগেছে রাশিয়ার থেকে শক্তি সামর্থ্যে অগ্রসর হতে।


পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর মাথাব্যথার কারণ হলো, রাশিয়া যদি সত্যি সত্যি ইউক্রেন দখল করে নেয়, পরবর্তী সময়ে তাদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কীভাবে ঢেলে সাজাবে? সেই জন্যই ইউরোপিয়ান দেশগুলো চাইছে রাশিয়া যেন ইউরোপকে দখল করতে না পারে, রাশিয়া যেখানে আছে সেখানেই তাকে স্টপ করে দেওয়া। তাই আপাতত ন্যাটো ইউক্রেনকে সব দিক থেকে সাহায্য করছে।


ইউক্রেনের ভেতরে নানা অনিয়ম চলছে, বিশেষ করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে। ভলোদিমির জেলেনস্কি ইউরোপিয়ান মিত্রদের কাছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর মানসিক ও সার্বিক অবস্থা, অর্থনীতির সঠিক চিত্র তুলে ধরছেন না। ইউক্রেনের আর্মির মধ্যে বিভাজন চলছে। ইউক্রেনের একজন সামরিক বিশেষজ্ঞ মিস্টার বজকো বলেছেন, ২০২৫ সালে ৮ মাসে ইউক্রেনের আর্মির মধ্যে ১ লাখ ৪২ হাজার ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে। এই বছর আগস্টে ১৭ হাজার ৪৯৫টি অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে ইউক্রেনের আর্মির বিরুদ্ধে। ইউক্রেনের আর্মি থেকে এ পর্যন্ত ২ লাখ ৬৫ হাজার ৮৪৩ জন সদস্য অবৈধভাবে বাহিনী ছেড়ে চলে গেছে, এটা শুধু সরকারি হিসাব মতে, প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে বেশি হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও