সেই কবেকার এক ভাড়াটে বাড়ির উঠানে একটা শিউলি গাছ লাগিয়েছিলেন দাদু। গাছটা কিন্তু ভাড়াটেদের মতো মাথা তুলতে গিয়ে কুণ্ঠা বোধ করেনি। সত্তরের দশকে বাংলাদেশে এক টালমাটাল সময়ে গাছটা তরতরিয়ে বেড়ে ওঠে ফুল দিতেও শুরু করল।
শরতের হালকা হিম ছোঁয়া আকাশে ভোরবেলা যখন আলো ভালো করে মুখ দেখায়নি তখন বন্ধুদের সঙ্গে রমনা পার্কে চলে যেতাম। দরজা আস্তে টেনে দিয়ে উঠানের দেয়াল টপকে রাস্তায় নামার আগে দেখতাম শিউলি গাছটা টুপটাপ করে সাদা আর কমলা ছোপ লাগা ফুল ঝরিয়ে যাচ্ছে।
জানতাম, একটু পরেই দাদু ঘুম থেকে উঠে একটা ছোট্ট কাঁসার ট্রেতে একটা একটা করে শিউলি ফুল কুড়াবেন। তারপর থালার ওপর পাতা এক খণ্ড কাপড়ে ফুলগুলো ছড়িয়ে দিয়ে ঘরে নিয়ে যাবেন। সারাদিন তার ঘরের টেবিলের ওপর থালাটা রাখা থাকবে।