এবারের নির্বাচনটা আসলেই চ্যালেঞ্জিং

প্রথম আলো মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:১২

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা। সাবেক এই বিদ্যুৎ–সচিব অবসরের পর দেশে–বিদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। অন্তর্বর্তী সরকার, আগামী নির্বাচন এবং তাঁর তিন মন্ত্রণালয়ের কাজের অগ্রগতি—এসব বিষয়ে কথা বলেছেন প্রথম আলোর সঙ্গে।


সরকারের এক বছর হলো। আপনি তিনটি বড় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন। এক বছরের অভিজ্ঞতা কী, কোন কোন বিষয়ে আপনি ভালো করলেন বলে মনে করেন? 


মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান: অর্থপূর্ণ উন্নয়নের জন্য আসলে এক বছর যথেষ্ট নয়। সময় একটা বড় সীমাবদ্ধতা। যেমন রেলে ইঞ্জিন ও কোচের সংকট আছে। আজ ক্রয়াদেশ দিলে দুই থেকে আড়াই বছর লাগবে আসতে। গ্যাস খাতের সমস্যা হচ্ছে, স্থানীয় গ্যাসের উৎপাদন কমছে। উৎপাদন বাড়াতে এ বছরের মধ্যে ৫০টি কূপ ও আগামী বছর থেকে আরও ১০০টি কূপ খননের কাজ চলবে। এটা কয়েক বছর লাগবে। নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হলে প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্ট ও পাইপলাইন করে গ্যাস উৎপাদন করতে সময় লাগে। এগুলো সবই সময়সাপেক্ষ; অন্তত তিন বছর লাগে, যা হাতে নেই। তাই আমরা চেয়েছি এমন একটা জায়গা তৈরি করতে, যাতে পরের সরকার এগুলো করতে পারে। যে সংকটের মধ্যে এ সরকার কাজ শুরু করেছে, সেটির মধ্যে যেন আগামী সরকারকে পড়তে না হয়। 


তবু স্বল্প সময়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির বিপুল বকেয়া বিল পরিশোধ করা হয়েছে। প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রের ব্যবস্থা করে অর্থ সাশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে খরচ কমে আসছে। চলতি অর্থবছরে ৩৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এটি আগের তুলনায় অনেক কম। গত সরকার আইন ও নীতিমালা করে দুর্নীতি করেছে। আমরা এসে বিতর্কিত আইন ও কিছু নীতিমালা বাতিল করেছি। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা বিইআরসির হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন করতে চার থেকে পাঁচ বছর সময় লাগে। 


একজন শিক্ষক হিসেবে সব মিলিয়ে আপনার নিজের কাজ এবং সরকারকে কত নম্বর দেবেন? 


মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান: এটা আসলে আমার করা ঠিক হবে না। এটা জনগণ, যাঁরা সেবাগ্রহীতা, তাঁরা ভালো বলতে পারবেন। তবে সময় একটা বড় সীমাবদ্ধতা। বড় ধরনের দৃশ্যমান পরিবর্তনের জন্য সময়টা যথেষ্ট নয়। অনিয়ম ঠিক করতেই বেশির ভাগ সময় চলে গেছে। আরেকটি বড় সীমাবদ্ধতা হলো, সরকারের কোনো চিয়ারলিডার নেই। যারা রাস্তায় থেকে সরকারের কাজকে সমর্থন দেবে। নীরব জনসমর্থন আছে; কিন্তু গোষ্ঠীগত সমর্থন নেই। ছাত্ররা শুরুতে সমর্থন জুগিয়েছে, পরে তারা নিজেদের রাজনৈতিক দল করেছে। সরকারকে দুই শতাধিক আন্দোলন মোকাবিলা করতে হয়েছে।


তবে এর মাঝেও বেশ কিছু কাজ করে যাচ্ছি আমরা। এ দায়িত্বে থেকে আগে লোকজন কী করছে আর আমরা কী করতে পারলাম; ব্যক্তিগত জায়গা থেকে দৃষ্টান্ত তৈরি করার চেষ্টা করছি। দেখানো হয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার কীভাবে স্থিতিশীল করতে হয়। মূল্যস্ফীতি কীভাবে কমিয়ে আনা যায়। বাজারব্যবস্থা ব্যবহার করে অর্থনীতি পরিচালনা করা। আগে লোডশেডিং হতো, এবারের গ্রীষ্মে হয়নি। বিদ্যুতের দাম একবারও বাড়ানো হয়নি। কেনাকাটায় খরচ কমানোর উপায় দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। 


সৌদি আরবে গিয়ে ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তাঁরা শুরুতেই জানতে চেয়েছেন, সরকারের মেয়াদ কত দিন। তখন মেয়াদ বাকি ছিল এক বছরের মতো। তাঁরা বলেন, একটি বিনিয়োগ প্রস্তাব চূড়ান্ত করতেই তো এক বছর লাগে। এ কারণেই আমরা চাইছি দ্রুত নির্বাচন হয়ে যাক। একটি দীর্ঘমেয়াদি সরকার আসুক, বিনিয়োগ হোক। এখন আমরা যদি সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের দরপত্র আহ্বান করি, তাহলে বিনিয়োগকারীরা অংশ নেবেন না। এ জন্য দরপত্রের জন্য প্রয়োজনীয় সব নথি তৈরি করে রাখা হচ্ছে, যাতে নতুন সরকার এসেই দরপত্র আহ্বান করতে পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও