ইলন মাস্কের রাজনৈতিক দল, সম্ভাবনা নাকি বিলাসী চিন্তা?

ঢাকা পোষ্ট ড. ফরিদুল আলম প্রকাশিত: ০৮ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৮

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে দ্বিদলীয় ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধনকুবের এবং সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে বিজয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইলন মস্ক। ৪ জুলাই দেশটির স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে তিনি এক অনলাইন জরিপে জনগণের উদ্দেশ্যে এই বলে প্রশ্ন রাখেন, ‘স্বাধীনতা দিবস আপনাদের এটি জিজ্ঞেস করার প্রকৃত সময়, আপনারা কি দ্বিদলীয় সংস্কৃতি থেকে প্রকৃত স্বাধীনতা চান কি না’।


জরিপের ফলাফলে দেখা গেল জরিপে অংশ নেয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ জনগণ ইলন মাস্কের প্রস্তাবিত আমেরিকা পার্টির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় মাস্ক বলেন, ‘আপনাদের স্বাধীনতা দিতে আজ আমেরিকা পার্টি গঠিত হল।’


তবে মার্কিন ফেডারেল ইলেকশন কমিশনের নিবন্ধন ব্যতীত দলটির আনুষ্ঠানিকভাবে একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার সুযোগ নেই, সেইসাথে এটাও ধারণা করা যায় যে, এই নিবন্ধন প্রক্রিয়াটিও একটি আনুষ্ঠানিকতার বিষয় এবং মাস্ক চাইলে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করা খুব একটা কঠিন বিষয় হবে না।


তবে রাজনৈতিক দল গঠন করলেই যে মার্কিন রাজনীতিতে বিশেষ কোনো সুবিধা পাওয়া যাবে, সে চিন্তা করা অবান্তর। দেশটির রাজনৈতিক এবং নির্বাচনী ব্যবস্থায় দীর্ঘ সময় ধরে যে চর্চা বিদ্যমান রয়েছে, এমন বাস্তবতায় তৃতীয় কোনো দলের উত্থান ঘটলেও তাদের নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠনের কোনো সুযোগ নেই।



৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। নির্বাচন ব্যবস্থাটিও এককথায় অদ্ভুত। কোনো নির্দিষ্ট অঙ্গরাজ্যে যে দল বেশি ভোট পাবে, নির্ধারিত ইলেক্টোরাল কলেজের সবকটি ভোটই সে দলের পকেটে যাবে।


ধরা যাক, সবচেয়ে বড় অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ায় ৫৫টি ইলেক্টোরাল কলেজ রয়েছে, মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে যদি কোনো প্রার্থী বিজয়ী হন, সবকটি ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট তিনি পেয়ে যাবেন, আবার প্যানসিলভেনিয়ায় রয়েছে ২০টি ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট।


কোনো প্রার্থী যদি কয়েক লাখ ভোটের ব্যবধানেও বিজয়ী হন, তিনি নির্ধারিত ২০টিই পাবেন, এর বেশি নয়। এভাবে মোট ইলেক্টোরাল ভোটের কমপক্ষে ২৭০টি ভোটে নির্ধারিত হয় কে হবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অনেক সময় দেখা যায় মোট ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে এগিয়ে থেকেও কেবল ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটের তারতম্যের জন্য কোন প্রার্থী পরাজিত হন। যেমনটা ২০০০ সালের নির্বাচনে হয়েছিল ডেমোক্র্যাট প্রার্থী আল গোরের ক্ষেত্রে এবং ২০১৬ সালের নির্বাচনে একই দলের হিলারি ক্লিনটনের ক্ষেত্রে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও