প্রসাধনসামগ্রী ব্যবহারে সৌন্দর্য নাকি ক্ষতি

www.ajkerpatrika.com ড. বিভূতি ভূষণ মিত্র প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২৫, ১০:০৯

পৃথিবীতে প্রসাধনসামগ্রী ব্যবহারের সংস্কৃতি অনেক দিনের। অনেকের মতে, এর ব্যবহার পৃথিবীতে প্রথম শুরু হয়েছে ৬ হাজার বছর আগে। পৃথিবীতে প্রায় প্রতিটি সমাজেই এর ব্যবহার দেখা গেছে। মেসোপটেমিয়া ও প্রাচীন মিসরে এর ব্যবহারের প্রমাণ রয়েছে। প্রাচীন মিসরে কাজল ব্যবহারের প্রচলন ছিল। তারা পাথরের ওপর বিভিন্ন উপাদান চূর্ণ করে প্রসাধনসামগ্রী তৈরি করত। মিসরের পুরুষ ও নারী উভয়েই এসব সামগ্রীর ব্যবহার জানত। তারা তাদের চেহারা উন্নত করার জন্য মেকআপ ব্যবহার করত। মিসরে ধারণা করা হয়, প্রায় ৫ হাজার বছর আগে প্রথম প্রসাধনীর ব্যবহার শুরু হয়েছিল।


তারা ত্বকের যত্নে ধূপের তেল ব্যবহার করত। এটি ত্বকের কোমলতা রক্ষা ও গন্ধসামগ্রী হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এ ছাড়া এখানে একসময় আইলাইনার ব্যবহারেরও প্রচলন ছিল। মিসরের নারীরা সূর্যের আলো থেকে বাঁচতে মুখে সাদা রং ব্যবহার করত। এই অঞ্চলে একধরনের লিপস্টিকের ব্যবহার প্রচলিত ছিল, যা দেখতে অনেক ঝলমলে। এই ঝলমলে লিপস্টিক তৈরির জন্য তারা মাছের আঁশ থেকে একধরনের মুক্তার মতো পদার্থ ব্যবহার করত। প্রাচীনকাল থেকে ইরান ও পারস্য অঞ্চলে আইলাইনার ব্যবহারের প্রচলন ছিল। মেসোপটেমিয়ায় উচ্চবিত্তরা রত্নপাথর গুঁড়ো করে প্রসাধনসামগ্রী হিসেবে ব্যবহার করত। প্রাচীন রোমেও এটি ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে।



প্রসাধনসামগ্রী ব্যবহারের একটা দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। অন্যান্য ইতিহাসের মতো এই ইতিহাসেরও একটি চড়াই-উতরাই রয়েছে। খ্রিষ্টীয় যুগের শুরুতে রোমান সাম্রাজ্যে প্রসাধনীর ব্যাপক ব্যবহার ছিল। তারা কাজল ব্যবহার করত অনেক। তারা গাল লাল করত আর গায়ের রং সাদা করার জন্য ব্যবহার করত পাউডার। গোসলের সময় তেল ব্যবহার করত। রোমান সাম্রাজ্য পতনের পর ইউরোপের অধিকাংশ জায়গায় প্রসাধনীর ব্যবহার কমে যায়। ইউরোপীয় রেঁনেসার সময় এর ব্যবহার আবার বাড়তে থাকে। ১৫ ও ১৬ শতাব্দীতে ইটালি আর ১৭ শতাব্দীতে প্রসাধনী উৎপাদনের প্রধান কেন্দ্র হয়ে ওঠে ফ্রান্স। ১৭ শতাব্দী পর্যন্ত এর ব্যবহার অভিজাতদের মধ্যেই ছিল। ১৮ শতাব্দীতে এটি প্রায় সবাই ব্যবহার করা শুরু করে। ১৯ শতকের শুরুর দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনে প্রসাধনসামগ্রীর প্রকাশ্য ব্যবহার খারাপ দৃষ্টিতে দেখত। তবে সে সময় ফ্রান্সের নারীদের মেকআপ ব্যবহারের চল ছিল। এই সময়টায় ফ্রান্স প্রসাধনী উৎপাদনে এগিয়ে ছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর সমস্ত কুসংস্কার বাদ দিয়ে নতুন করে প্রসাধনীর ব্যবহার শুরু হয়। আধুনিক যুগে এসে প্রসাধনসামগ্রী একটি বৃহৎ শিল্পে পরিণত হয়েছে। আগে প্রসাধনসামগ্রীতে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহৃত হলেও এখন রাসায়নিক উপাদান ব্যবহৃত হয়। ফলে এসব পণ্যে ক্ষতিকর উপাদান থেকে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে গেছে।


প্রসাধনসামগ্রী বলতে ত্বক, চুল ও শরীরের সৌন্দর্যের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রীকে বোঝায়। আমরা নানা উদ্দেশ্যে নানা রকম প্রসাধনসামগ্রী ব্যবহার করে থাকি। যেমন মেকআপের জন্য ব্যবহার করি মাসকারা, আইশ্যাডো, আইলাইনার, কনসিলার প্রভৃতি। আবার ত্বকের জন্য ব্যবহার করি ময়েশ্চারাইজার, সানস্ক্রিন, ফেসিয়াল মাস্ক, টোনার ইত্যাদি। চুলের যত্নে ব্যবহার করি শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, হেয়ার স্প্রে, হেয়ার কালার ইত্যাদি। এ ছাড়া সাবান, পারফিউম, লিপস্টিক আরও নানা ধরনের প্রসাধনসামগ্রীর ব্যবহার যুগ যুগ ধরে চলে আসছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও