পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন : বিভ্রান্তি ও বাস্তবতা

যুগান্তর প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২৫, ১০:০৭

বিশ্বজুড়ে ১৩০টিরও বেশি দেশ তাদের নিম্নকক্ষ নির্বাচনের জন্য আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) অথবা মিশ্র পদ্ধতি ব্যবহার করে। ৫৫টিরও কম দেশ ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট সিস্টেম ব্যবহার করে। বিশ্বব্যাপী জনসংযোগের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ধরন হলো দলীয় তালিকার আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব। ৭৩টি দেশ তাদের সংসদ-সদস্য নির্বাচনের জন্য এটি ব্যবহার করে।


পিআর পদ্ধতি কী : পিআর হলো এমন একটি নির্বাচন পদ্ধতি, যেখানে জনগণের দেওয়া ভোটের শতাংশ অনুসারে সংসদে আসন বণ্টন করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো দল ১০ শতাংশ ভোট পায়, তাহলে তারা ১০ শতাংশ আসন পাবে, যদিও তারা কোনো একক আসনে জয়ী না-ও হতে পারে।


৫ আগস্ট ২০২৪-পরবর্তী বাংলাদেশের নবগঠিত রাজনৈতিক কাঠামোর আলোচনায় নতুন করে উঠে এসেছে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন। এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ছোট ও মধ্যমপর্যায়ের রাজনৈতিক দলগুলো দাবি তুলেছে-তাদের মতো দলগুলো যেন সংসদে প্রতিনিধি পাঠাতে পারে, সেজন্য পিআর পদ্ধতির প্রয়োজন। অপরদিকে, বিএনপির মতো বড় দল এবং তার সঙ্গে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এর বিরোধিতা করছে। কারণ তারা আশঙ্কা করছে, এ পদ্ধতি সরকার গঠনের জটিলতা বাড়াবে, দুর্নীতির নতুন মাত্রা তৈরি করবে। এ প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন ওঠে, এ পদ্ধতি কি বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল ও রাজনৈতিকভাবে অস্থির একটি রাষ্ট্রে কার্যকর হতে পারে? এর সুফল ও কুফল কী? পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়ন করলে আমাদের সাংবিধানিক কাঠামো, সংসদীয় শাসন ও জনজীবনে কী ধরনের পরিবর্তন আসবে?



এ লেখায় আমরা বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করব, পিআর পদ্ধতিতে উচ্চ ও নিম্নকক্ষে এর বাস্তবতা, দক্ষিণ এশিয়া ও কয়েকটি উন্নত দেশের তুলনামূলক অভিজ্ঞতা এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পিআর পদ্ধতির সম্ভাব্য সুফল ও ক্ষতি এবং এর রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব।


বিশ্বব্যাপী পিআর পদ্ধতির অভিজ্ঞতা : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপর ১৯৪৬ সাল থেকে ইতালিতে পিআর পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়। যদিও ছোট ছোট রাজনৈতিক দলের সংসদে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জাতীয় সিদ্ধান্তে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। কিন্তু এর ফলে ৫০ বছরে ৬৩টি সরকার পরিবর্তন হয় এবং নানারকম দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হতে থাকে। ছোট ছোট দল নানাভাবে বড় দলগুলোকে প্রভাবিত করে সরকার পতনের দিকে ধাবিত করে। ৫০ বছরের অস্থিতিশীল অবস্থা টিকতে না পেরে ১৯৯৩ সালে গণভোটের মাধ্যমে পিআর পদ্ধতি থেকে বের হয়ে যায় ইতালি। দক্ষিণ এশিয়ায় আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির প্রয়োগ তুলনামূলকভাবে সীমিত হলেও নেপালে পিআর ব্যবস্থায় অনেক ছোট দল পার্লামেন্ট প্রবেশ করে, ফলে সরকারের গঠন নির্ভর করে দুর্বল জোটের ওপর। এতে নীতিনির্ধারণে সময়ক্ষেপণ হয়, দুর্বল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে দেখা যায়। নানা জটিলতা এবং জোটের ভাঙনের কারণে ২০০৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে নেপালে প্রায় ১২ বার সরকার বদল হয়েছে। শ্রীলংকাতেও পিআরভিত্তিক নির্বাচন একাধিকবার সংখ্যালঘু জোটের অস্থিতিশীল ভূমিকার কারণে সরকারের স্থায়িত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ভারতে লোকসভা (নিম্নকক্ষ) সরাসরি নির্বাচিত, রাজ্যসভা (উচ্চকক্ষ) পিআরভিত্তিক। রাজ্যসভায় পিআর ব্যবহৃত হলেও সেখানে আইন প্রণয়নে বাধা দেয় না; কারণ বড় বড় সিদ্ধান্ত নেয় লোকসভা (নিম্নকক্ষ)।


উন্নত দেশগুলোয় দীর্ঘদিনের গণতন্ত্র চর্চা, আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট, জনগণের মধ্যে দেশপ্রেম ও রাজনীতিবিদদের দায়িত্ববোধের কারণে ছোট দলগুলোকে ব্যক্তি কিংবা দলীয় স্বার্থে পিআর পদ্ধতির অপব্যবহার করতে সাধারণত দেখা যায় না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও