সাইবার জগতে কোন অপরাধ বেশি, কেন?

ঢাকা পোষ্ট আশরাফুল ইসলাম প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:৪২

দশ বছরে বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তর বিস্ময়কর গতিতে এগিয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিং, ই-কমার্স, ডিজিটাল পেমেন্ট, ফেসবুক-ভিত্তিক ব্যবসা এবং সরকারি সেবা অনলাইনে স্থানান্তরের ফলে কোটি মানুষের জীবন সহজ হয়েছে। দেশের অর্থনীতি ও জীবনযাত্রায় বড় পরিবর্তন এসেছে। তবে এই সম্ভাবনার পাশাপাশি দ্রুত বেড়েছে সাইবার অপরাধ, বিশেষ করে ডিজিটাল আর্থিক প্রতারণা।


বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট, CID, BGD e-Gov CIRT এবং ব্যাংকিং খাতের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে মোট সাইবার অপরাধের ৫৫–৬৫%ই আর্থিক প্রতারণা। অর্থাৎ সাইবার অপরাধের সবচেয়ে বড় অংশই অর্থ হাতিয়ে নেওয়া। ফলে সাইবার অপরাধের ধরন যেমন বাড়ছে, তেমনি আর্থিক ক্ষতির পরিমাণও প্রতি বছর কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।


প্রশ্ন হচ্ছে, কেন আর্থিক সাইবার অপরাধ এত বেশি? এর ফলে আর্থিক ক্ষতি কত? এই অপরাধ বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ কী? এবং এর কার্যকর সমাধান কী হতে পারে?


বাংলাদেশে কোন ধরনের সাইবার অপরাধ ঘটে?


বাংলাদেশে সাইবার অপরাধকে সাধারণভাবে চার ভাগে দেখা যায়।


প্রথমটি হলো আর্থিক বা ফাইন্যান্সিয়াল সাইবার ক্রাইম। এখানে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা ঘটে। উদাহরণস্বরূপ, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (MFS) প্রতারণা যেখানে bKash, Nagad, Rocket, Upay মাধ্যমে এসব প্রতারণা ঘটে। বর্তমানে এসব সেবার ব্যবহারকারী এখন ১০ কোটির বেশি। ফলে প্রতারণাকারীদের প্রথম লক্ষ্য এই সেক্টর।


প্রতারণার কৌশল হচ্ছে OTP বা PIN জেনে নেওয়া, ‘আপনার অ্যাকাউন্ট ব্লক হবে’ এই ধরনের কথা বলে ভয় দেখানো, ভুয়া কাস্টমার কেয়ার কল এবং ভুয়া লটারি/পুরস্কার জেতার বার্তা। আবার ফিশিং ও ভিশিং মাধ্যমেও প্রতারণা ঘটে যেখানে ভুয়া লিংক পাঠিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট/কার্ড নম্বর বা লগইন তথ্য সংগ্রহ করা।


আরও আছে রোমান্স স্ক্যাম ও বিদেশি ইনভেস্টমেন্ট স্ক্যাম যেখানে বিদেশি নাগরিক পরিচয়ে ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরি করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া। কার্ড স্কিমিং ও ডেটা চুরি যেখানে ATM কার্ড/ডেবিট কার্ড তথ্য সংগ্রহ করে লেনদেন করা এবং সোশ্যাল মিডিয়া ভিত্তিক প্রতারণা যেখানে ফেসবুক দোকান, অনলাইন মার্কেটপ্লেস, ভুয়া ডিসকাউন্ট, অগ্রিম টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়া।


এসব অপরাধের হার তিন বছরে দ্বিগুণের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানে বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার ইউনিট ও CIRT-এর 2023-24 সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে ৩,০০০–৪,০০০ মানুষ সাইবার আর্থিক প্রতারণার শিকার হন। ২০২৩ সালে আনুমানিক ৫০০–৮০০ কোটি টাকার বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে (পুলিশ ও সাইবার ইউনিটের সম্মিলিত রিপোর্ট অনুযায়ী)। শুধু MFS Fraud-এ বছরে ২–৩ কোটি লেনদেন ঝুঁকির মুখে পড়ে। অতএব, আর্থিক সাইবার অপরাধই বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি এবং সবচেয়ে ক্ষতিকর।


দ্বিতীয়টি হলো ব্যক্তিগত তথ্যভিত্তিক অপরাধ (Identity Theft & Data Breach) প্রতারণা। বাংলাদেশে প্রায় ৫.৫ কোটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী। ফলে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি বা অপব্যবহারের হারও দ্রুত বাড়ছে। উদাহরণস্বরূপ, ফেসবুক আইডি হ্যাক, জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) ডেটা চুরি, সিম ক্লোনিং, ফোন থেকে ছবি/ভিডিও ব্ল্যাকমেইল। ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়ে তা আবার আর্থিক প্রতারণায় ব্যবহৃত হয়, যা অপরাধের চক্রকে আরও শক্তিশালী করে।


তৃতীয়টি হলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম-ভিত্তিক অপরাধ। এখানে অপপ্রচার, মানহানি, হয়রানি, চাঁদাবাজি, ব্ল্যাকমেইলিং দ্রুত ছড়ায়। 


এবং চতুর্থটি হলো প্রাতিষ্ঠানিক ও অবকাঠামোগত সাইবার অপরাধ। এগুলো সংখ্যায় কম হলেও প্রভাব বড়। ৬ কোটি ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড ডেটা ওয়েবে বিক্রির খবর (২০২৪) বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তার দুর্বল দিক স্পষ্ট করেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও