র‍্যাব নিয়ে ‘নতুন’ ন্যারেটিভ তৈরির চেষ্টা কেন

প্রথম আলো মনজুরুল ইসলাম প্রকাশিত: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:৪১

২১ ডিসেম্বর প্রথম আলো অনলাইনে একটা লেখা প্রকাশিত হয়েছিল। লেখার শিরোনাম ছিল, ‘র‍্যাব বিলুপ্ত করার এখনই উপযুক্ত সময়’। লেখার মূল কথা হলো, র‍্যাব বিলুপ্ত করার বিষয়ে জনগণের একটা বড় অংশের মধ্যে একধরনের ঐকমত্য তৈরি হয়েছে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত দ্রুত এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা।


লেখাটা প্রকাশের কয়েক দিনের মধ্যেই এমন একটা ঘটনা নজরে এসেছে, যাতে প্রতীয়মান হয়, র‍্যাব বিলুপ্তির বিপক্ষে একধরনের ‘কৌশলী প্রচারণা’ শুরু হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে নানা কারণে ‘প্রভাবশালী’ হয়ে ওঠা কেউ কেউ জেনে–বুঝে তাতে অংশ নিচ্ছেন। তাঁরা র‍্যাবের পক্ষে ‘সাফাই গাওয়ার’ জন্য নতুন ন্যারেটিভ বা বয়ান তৈরি করার চেষ্টা করছেন।


ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের পতন হয়। গণ–অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের বেশ কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রী, এমপি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। এ কারণে ট্রাইব্যুনালের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং একই সঙ্গে স্পর্শকাতরও বটে।


এ রকম এক প্রেক্ষাপটে ২৩ ডিসেম্বর র‍্যাব সদর দপ্তরে একটি অনুষ্ঠানে ‘আলোচক’ হিসেবে গিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। এরপর তিনি তাঁর ফেসবুক পেজে র‍্যাব নিয়ে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি বেশ কিছু ছবি সংযুক্ত করে র‍্যাব নিয়ে কিছু কথা লেখেন।



চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের সেই লেখা থেকে কিছু অংশ হুবহু তুলে দেওয়া হলো, ‘...এক নিকৃষ্ট স্বৈরশাসক ও এক নিপীড়ক সরকার ব্যবস্থা জনগণের অর্থে পরিচালিত একটি সফল বাহিনীকে কিভাবে খুনে বাহিনীতে পরিণত করেছিল তার দৃষ্টান্ত এই RAB. প্রতিষ্ঠার পর জনমনে আশা জাগানিয়া এই বাহিনীটি পরবর্তীতে জনগনের ঘৃনা ও আতংকের বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়। ৫ই আগষ্ট দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর বদলে যাওয়া বাংলাদেশে এই বাহিনীটিকে কিভাবে আবার জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের বাহিনীতে পরিণত করা যায় তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা ও নানা প্রচেষ্টা চলছে। এই বাস্তবতায় আগের অফিসারদের বাদ দিয়ে RAB কে নতুন আঙ্গিকে ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়া চলছে।...’


র‍্যাবের অনুষ্ঠানে তাজুল ইসলামের ‘আলোচক’ হিসেবে যাওয়া এবং পরে ফেসবুকে তাঁর দেওয়া পোস্টটি নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ফেসবুক পোস্ট হিসেবে দেওয়া তাঁর ওই লেখার সারমর্ম হলো, বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে গঠিত র‍্যাব সেই সময়ে একটি ‘সফল’ বাহিনী ছিল। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তা ‘খুনে বাহিনী’তে পরিণত হয়।


বাস্তবতা হলো, আওয়ামী লীগ আমলে (২০০৯–২০২৪) ‘ক্রসফায়ার’, গুমসহ মানবিধকার লঙ্ঘনে র‍্যাবের ভূমিকা সব মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিল; কিন্তু এর শুরুটা হয়েছিল ২০০৪ সালে র‍্যাব গঠনের পর থেকেই, অর্থাৎ চারদলীয় জোট সরকারের আমলেই। সেই আমলেই দেশি–বিদেশি মানবাধিকার সংস্থাগুলো র‍্যাব নিয়ে তাদের আশঙ্কার কথা জানিয়েছিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও