উস্কানির উত্তেজনা ও দূরত্ব সৃষ্টির দায়

জাগো নিউজ ২৪ ড. মো. ফখরুল ইসলাম প্রকাশিত: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:৩৯

বেশ কয়েক মাস ধরে দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত বাংলাদেশের মধ্যে নানা বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিতর্ক চলছে। তার রেশ ধরে গুজব ছড়ানো, উস্কানিমূলক বক্তব্য ও পাল্টা বিবৃতি দেয়ার মাধ্যমে টান টান উত্তেজনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এজন্য ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন অফিসে ত্রিপুরার উচ্ছৃঙ্খল জনতা আক্রমণ চালিয়ে সেটার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। দু’দেশের সরকারী পর্যায়ে একধরনের রাজনৈতিক টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে।


এই টানাপোড়েনের ফলে উভয় দেশের মধ্যে যে আর্থ-সামাজিক ও পারিবেশিক ক্ষয়ক্ষতি তৈরি হচ্ছে তার সিংহভাগ গুজব রটানো, উস্কানিদাতা প্রতিবেশী দেশের ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও সেবাপ্রতিষ্ঠানের হতাশাজনক উক্তি থেকে ক্রমাগত প্রকট হয়ে উঠছে। এই নাজুক অবস্থা ও বাংলাদেশী জনগণের সাথে দূরত্ব সৃষ্টির দণ্ড তাদেরকে কোথায় নিয়ে গিয়ে দাঁড় করাবে সেজন্য তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।


গত ৫ আগস্ট ২০২৪ আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে বেশ দূরত্ব দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের (ইসকন) মুখপাত্র গ্রেপ্তার ও চট্টগ্রামের সরকারী আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের মৃত্যুতে সেই দূরত্ব আরও বেড়েছে।



‘হিন্দু নিপীড়নের’ অভিযোগ তুলে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (আরএসএস)। তারা ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ দিল্লীতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। তবে ১৬ ডিসেম্বর কোলকাতায় অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় কিছু সৈন্য বাংলাদেশের বিজয় দিবস পালন করেছেন।


অন্যদিকে আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে প্রতিবাদী পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ‘সার্বভৌম কোনো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের শামিল।


ভারতের সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহ বাংলাদেশের জনগণের প্রতি অবজ্ঞাস্বরূপ... পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রধান ফটক ভেঙে বিক্ষোভকারীদের প্রাঙ্গণে আক্রমণ করার সম্মতি দেওয়া হয়েছিল। এটি কূটনৈতিক নিয়ম এবং আন্তর্জাতিক আইনের একটি গুরুতর লঙ্ঘন। একই সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিয়েনা কনভেনশন, ১৯৬১ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও