You have reached your daily news limit

Please log in to continue


নকল ও ভেজাল ওষুধ চেনার উপায় কী?

নকল ও ভেজাল ওষুধ মানবস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোয় উৎপাদিত দশটি ওষুধের মধ্যে কমপক্ষে ১টি ওষুধ নকল বা ভেজাল। সংস্থাটির মতে প্রতিবছর সারা বিশ্বে প্রায় ৭৫-২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নকল ও ভেজাল ওষুধ বিক্রয় হয়। একদিকে নকল ও ভেজাল ওষুধের ছড়াছড়ি, অন্যদিকে প্রেসক্রিপশনে ওষুধের ভয়াবহ রকমের অপব্যবহার ও ভুল ব্যবহার আমাদের দেশের জন্য মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

ওষুধবিজ্ঞানের ভাষায় নকল ওষুধ (falsified/counterfeit/fake medicines) হলো এমন ওষুধ যা এমনভাবে প্রস্ততকারকের নাম ও প্যাকেজ নকল করে তৈরি করে যেন তা আসল ওষুধ বলে মনে হয়। নকল ওষুধে প্রায় সবসময় সক্রিয় উপাদান অনুপস্থিত থাকে বা ভুল মাত্রায় থাকে বা অনেক ক্ষেত্রে ভিন্ন উপাদান থাকতে পারে।

অন্যদিকে ভেজাল ওষুধ (substandard/out of specification medicines) হচ্ছে এমন ওষুধ যা নিবন্ধিত কিন্তু নির্ধারিত মানদণ্ড অনুযায়ী উৎপাদিত হয়নি অর্থাৎ নিম্নমানের। ভেজাল ওষুধে সক্রিয় উপাদানের মাত্রা কম বা বেশি থাকতে পারে। ওষুধ সঠিকভাবে সংরক্ষণ না হওয়ার কারণে গুণগত মান নষ্ট হলেও সেটি ভেজাল ওষুধের সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে।

বাংলাদেশে নকল ও ভেজাল ওষুধের বিস্তার কেমন?

বছরের পর পর ধরে ‘নকল, ভেজাল দেশের বাজার সয়লাব হয়ে গেছে’—এরকম সংবাদ প্রায় আমাদের নজরে আসে। কয়েকমাসে এরকম বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়। ১৪ জুলাই ২০২৫ দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার একটি খবরের হেডলাইন ছিল এরকম—“প্রায় ৪০ শতাংশ ওষুধে ভেজাল, ওষুধশিল্পে ভয়াবহ নৈরাজ্য”। উক্ত রিপোর্ট অনুযায়ী সারা দেশে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে নকল ও জীবন রক্ষাকারী ভেজাল ওষুধ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রতিবেদনে ওষুধের দোকানদাররাই অভিযোগ করেছেন ভেজাল ওষুধ প্রস্তুতকারী ও বিক্রেতাদের কাছ থেকে একশ্রেণির কর্মকর্তা নিয়মিত মাসোহারা পাচ্ছেন এবং তাদের মতে এ কারণে ভেজাল ও নকল ওষুধসামগ্রী উৎপাদন ও বাজারজাত দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ওষুধ বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে প্রায় ৪০ ভাগ ওষুধ ভেজাল ও নকল, আমদানিকৃত ওষুধ বেশিরভাগ নকল ও ভেজাল। এমনকি ইনসুলিন ইনজেকশনের নকল ভার্সন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।

আমাদের দেশে ওষুধের দোকানে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট নেই বললেই চলে। তাই, ওষুধ বিক্রেতার ওষুধ সম্পর্কে জ্ঞান ওষুধ বিক্রির মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ওষুধের গুণগত মান পরীক্ষা ছাড়াই তারা যে পরিসংখ্যান দিয়েছেন তা বেশ গুরুত্বের দাবি রাখে। কারণ, তাদের মতামত অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণের ফল। তাই বাস্তবে দেশের বাজারে নকল ও ভেজাল ওষুধের বিস্তার আরও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

২০২২ সালে ‘Scientific Reports’ জার্নালে এ সম্পর্কিত একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখানো হয়েছে দেশের বিভিন্ন ওষুধের দোকান থেকে সংগৃহীত ইসোমিপ্রাজল, সেফিক্সিম এবং অ্যামোক্সিসিলিন-ক্লাভুলানিক অ্যাসিড কম্বিনেশনের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ওষুধের মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ ওষুধ ছিল নকল ও ভেজাল। 

২৮ মে ২০২৫ প্রকাশিত বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত “আটা-ময়দার ট্যাবলেট ও ভেজাল ওষুধের বিস্তারে অসহায় মানুষ” শীর্ষক আরেকটি প্রতিবেদন বলছে শহর থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চল, সবখানেই ছড়িয়ে পড়েছে নকল ও ভেজাল ওষুধ এবং এর বিস্তার নিয়ে চিকিৎসকরাও ভীষণ উদ্বিগ্ন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন