সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অডিটর বিচারের গুরুত্ব
অডিটর বিচার বা জাজমেন্ট হলো অডিট কার্যক্রমে অডিটরের বিভিন্ন তথ্যসংগ্রহ, পরিমাণগত ও গুণগত অডিট প্রমাণক সংগ্রহ, বিশ্লেষণ, অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা পর্যালোচনা, ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং উপসংহার ও মতামত প্রদানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আইন বা মানদণ্ড বিবেচনায় নিয়ে অডিটরের পেশাগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া। সহজভাবে বলতে গেলে, পাবলিক সেক্টরের অডিট বিচার হলো অডিট প্রক্রিয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল অংশ, যা একজন অডিটরের বিষয়ভিত্তিক ও পেশাগত জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং নৈতিক মানদণ্ডের ভিত্তিতে সংগৃহীত তথ্য ও প্রমাণাদি বিচার বিশ্লেষণ করে পেশাগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ধারাবাহিক কার্যক্রম।
প্রকৃতিগতভাবে প্রতিটি মানুষই ভিন্ন। কাজেই একেকজন অডিটরের পেশাগত জ্ঞান, দৃষ্টিভঙ্গি, বিচার-বিশ্লেষণ ক্ষমতায় ভিন্নতা থাকাই স্বাভাবিক। তাই কোনো অডিটরের বিচার শতভাগ নিশ্চিত তা বলা কঠিন। ইন্টুসাই-এর ইসাই মানদণ্ডে অডিটর বিচারের দুটি দিক উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমত : পেশাদার বিচার ও দ্বিতীয়ত : পেশাগত সন্দেহপ্রবণ মনোভাব। বিস্তারিত পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, অডিটের পেশাদার জ্ঞান হলো একজন অডিটরের সেই বিশেষ জ্ঞান, দক্ষতা এবং নীতিগত কাঠামো যা তাকে স্বাধীন এবং বস্তুনিষ্ঠভাবে যে কোনো অডিটি প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক, আর্থিক ও গুণগত দিকগুলো পরীক্ষা ও মূল্যায়ন করতে সাহায্য করে। এ জ্ঞানের আলোকে অডিটর অডিটেড বিষয়ে একটি পেশাদার উপসংহার, মতামত দেওয়ার মাধ্যমে যুক্তিসংগত নিশ্চয়তা প্রদান করে। অডিটরের পেশাদার জ্ঞানের উপাদানগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত দক্ষতা, নৈতিকতা ও পেশাদারি, স্বাধীনতা ও বস্তুনিষ্ঠতাসম্পন্ন মনোভাব, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সমস্যা সমাধান এবং যোগাযোগ দক্ষতা অন্যতম।