ইতিহাসের ভার, ভয়ের রাজনীতি এবং চব্বিশ পরবর্তী বাংলাদেশের আত্মসংকট
ডিসেম্বর এলেই বাংলাদেশে বিজয়ের কথা উচ্চারিত হয়। রাষ্ট্রীয় ভাষ্য, রাজনৈতিক বক্তৃতা ও সংবাদমাধ্যমের আলোচনায় ফিরে আসে রক্তপ্রাণের মুক্তিযুদ্ধ এবং ১৯৭১ সালের ওই ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যেদিন ৯৩ হাজার পরাজিত পাকিস্তানি সেনা আত্মসমর্পণ করেছিল। এই স্মরণপর্ব একদিকে গৌরবের, অন্যদিকে প্রাতিষ্ঠানিক অনুশীলনেরও।
প্রশ্ন উঠছে, এই বিজয় কি কেবল একটি নির্দিষ্ট মাসে পুনরাবৃত্ত উচ্চারণের বিষয়, নাকি তা একটি চলমান রাজনৈতিক ও নৈতিক দায়? মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যদি রাষ্ট্র পরিচালনার নীতিতে, নাগরিকের অধিকার সুরক্ষায় এবং গণতান্ত্রিক চর্চায় প্রতিফলিত না হয়, তবে বিজয়ের স্মরণ কি নিছক অতীতচারিতায় সীমাবদ্ধ থেকে যায় না?
২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর এই প্রশ্নটা আরও তীক্ষ্ণ হয়ে উঠেছে। কারণ, এই অভ্যুত্থান কেবল একটি স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটায়নি, বাংলাদেশকে নতুন এক গভীর রাজনৈতিক ও নৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও ঠেলে দিয়েছে। কারণ, আজকের বাংলাদেশে এমন কোনো রাজনৈতিক শক্তি নেই, যাকে দেখে এদেশের মানুষ নিঃসঙ্কোচে বলতে পারে, এরাই আমাদের সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।