বিদ্যুৎ-জ্বালানি বিষয়ে করণীয় ও পরিকল্পনা

ঢাকা পোষ্ট ড. ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:৫১

জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নতুন স্বপ্নে পথচলা শুরু করেছে। একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের নেতৃত্বে আমাদের যাত্রা শুরু। বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদও নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এতে এমন কিছু ব্যক্তিত্ব সন্নিবিষ্ট হয়েছেন যারা তাদের নিজস্ব ক্ষেত্রে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন এবং সার্বিকভাবে সুশীল সমাজের নজর কেড়েছেন।


ফলে আমরা আশা করতেই পারি দেশ ভালো আগামীর পথে হাঁটবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, বিদ্যুৎ সেক্টর আবার অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। ব্যক্তিগতভাবে আমার ভয়ই হচ্ছিল, কখন না আবার বিদ্যুৎ ঘাটতির কথা শুনতে হয়! যেখানে বাঘের ভয়, সেখানে সন্ধ্যা হবেই। এবার প্রায় ২৫০০-৩০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতির ধাক্কায় পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ।


বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কারিগরি ত্রুটির কারণে বন্ধ রয়েছে, কেউ পাওনা আদায়ের তাগিদ দিচ্ছেন, আবার গ্যাস খাতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এলএনজি টার্মিনাল প্রায় তিন মাস ধরে অকার্যকর রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের ভয়, এই ঘাটতি সম্ভবত আরও বাড়তে পারে। কারণ গ্যাসের সরবরাহ একসাথে তিনটি খাতের চাহিদা জোগায় ঘরগৃহস্থালির দৈনন্দিন কাজে, শিল্পকারখানায় এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রে। ফলে গ্যাসে র‍্যাশনিং করতে হলে এই তিনখাতই নড়বড়ে হয়ে যায়।


গ্যাসের অবস্থা নাজুক হলে বিদ্যুতের জন্য স্বাভাবিকভাবে চাপ পড়ে তেল চালিত কেন্দ্রগুলোর ওপর। এদের জ্বালানি কিনতে গেলে ডলারের ওপর চাপ পড়বে, তাছাড়া উৎপাদনের বেশি চাপে এদের কারিগরি ত্রুটিও দেখা দেবে। এইসব প্রভাবকের মিলিত চাপে বিদ্যুৎ ঘাটতি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। অতিদ্রুত এই ঘাটতি পোষানো যাবে না এবং কিছুটা সময় লেগেই যাবে পাওনা মেটাতে, কারিগরি ত্রুটি সারাতে এবং গ্যাস সরবরাহ আগের ভলিউমে প্রত্যাবর্তন করতে।


জ্বালানি নিয়ে আমাদের সমস্যা থাকছেই এবং প্রতিটি মৌসুমেই এই সমস্যার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। অথচ প্রত্যাশা ছিল আমাদের এইসব পদ্ধতিগত সমস্যা আর থাকবে না। নবপ্রভাতের পথচলায় পথের কাঁটার মতো এই সমস্যা হঠাৎ করে ঘাড়ে চেপে বসেছে।



তাৎক্ষণিক করণীয় কী তা বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা ঠিক করছেন। কিছু পাওনা মিটিয়ে অন্তত আদানির বিদ্যুৎ-সরবরাহ নিশ্চিত করা হোক, মাতারবাড়ি ও বড়পুকুরিয়ার সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান হোক–এগুলো আমাদের প্রত্যাশা।


সামিটের এলএনজি টার্মিনালটি চালু হোক, যদিও এর কারিগরি ত্রুটির প্রকরণটি আমাদের অজানা, তবু তিন মাসের মতো সময়ে অচঞ্চল বসে থাকা কাম্য নয়। আমরা একটি গতিশীল, ক্রিয়াশীল জ্বালানি টিম চাই।


এ বিষয়ে কিছু কাজ করা যায় এবং এটা এখনই করতে হবে, যাতে করে ভবিষ্যতে আমরা গতিশীল জ্বালানি খাত পাবো যা নিজের সমস্যাকে চিহ্নিত করে তার সমাধান করতে আগেই তৎপর হবে। আমার পক্ষ থেকে কিছু জরুরি উপদেশ হলো—


১। জ্বালানি ভাবনায় সবসময় মৌলিক বিষয়গুলো জোর দিন—মেগাওয়াট (ক্ষমতার একক) নিয়ে উল্লম্ফন নয়, জুল (শক্তির একক)-এর হিসাব করুন; জ্বালানি ঘনত্ব এবং জেনারেশন-কার্ভের [কিলোওয়াটঘণ্টা (কিঃওঃঘঃ) বনাম ঘণ্টা অথবা মিনিট] কথা ভাবুন।


২। বাংলাদেশ এমন কোনো জ্বালানি ব্যতিক্রমী দেশ নয় যে তাকে ফুয়েল আমদানি করতে হবে না। অতএব, আমাদের একটি কোর-গ্রুপ থাকা প্রয়োজন যারা এনার্জি প্রাইসিং নিয়ে মডেল নির্মাণ করতে সক্ষম হবে, আন্তর্জাতিক বাজারে দরের ওঠানামা নখদর্পণে রাখবে, এবং একাধিক বিকল্প সাপ্লাই চেইনের সন্ধানে থাকবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও