কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বাইডেন-শির বৈঠক কী বার্তা দিল

দেশ রূপান্তর রায়হান আহমেদ তপাদার প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৪২

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশে^র ভূরাজনৈতিক পটভূমি কতটা বদলে গেছে এবং পরাশক্তিগুলোর পারস্পরিক রশি-টানাটানি কতটা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নিয়ামক হয়ে উঠেছে, তা চলমান সংকট, সংঘাত ও যুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে গাজা ও ইউক্রেন যুদ্ধ বৈশি^ক বিভেদকে বাড়িয়ে তুলছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সান ফ্রান্সিসকোর বে এরেনায় মিলিত হয়েছেন। গত ১৫ নভেম্বর এই দুই ক্ষমতাশালী প্রেসিডেন্টের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো মুখোমুখি সাক্ষাৎ হলো। আশা ছিল ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ, তাইওয়ান, ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং নির্বাচনে হস্তক্ষেপের মতো অনেক বিষয়ই উঠে আসবে এ বৈঠকে।


যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এশিয়ার গুরুত্ব রয়েছে। আবার ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্র এশিয়া থেকে সাময়িক সময়ের জন্য ইউরোপের দিকে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই গুরুত্বটা নিরাপত্তা ও অর্থনীতি দুই ইস্যুতেই বুঝতে হবে। প্রকৃতপক্ষে আইপিইএফ জোট গঠনের ঘোষণার মধ্যে আর যে বিষয় এখানে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, সেটি হলো কোয়াড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র পরিপূর্ণভাবে সন্তুষ্ট নয়। এর কারণ হচ্ছে, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান কৌশলগত প্রতিযোগিতার মধ্যে অর্থনীতি ও নিরাপত্তা দুটিই ভূরাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। বাইডেন যখন নিরাপত্তা থেকে এশিয়ার বাজারের দিকে নজর ঘোরাচ্ছেন, তখন চীন বিপরীত পথে হাঁটতে শুরু করেছে। তারা অর্থনীতি থেকে নিরাপত্তার দিকে ঝুঁকছে। চীনের মহাপরিকল্পনায় দীর্ঘদিন ধরে অর্থনৈতিক আধিপত্য ছিল কেন্দ্রীয় বিষয়। কয়েক দশক ধরে চীন তাদের বিশাল অর্থনীতির সুযোগে অনেকগুলো দেশের প্রধান ব্যবসায়ী অংশীদারে পরিণত হয়েছে।


এ বছরের শুরুতে দুই দেশের সম্পর্কে ফাটল ধরে। যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করে যে, চীন তাদের আকাশে একটা স্পাই বেলুন পাঠিয়েছে। পরে মার্কিন যুদ্ধবিমান সেটি দক্ষিণ ক্যারোলিনার উপকূলে ভূপাতিত করে। এর আগে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের সেই সময়ের হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফর করেন, যার জেরে দুই দেশের মধ্যে সামরিক যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় চীন। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বাইডেন এই সম্পর্ক আবার পুনরায় স্থাপনে সংকল্পবদ্ধ। কিন্তু চীনকে খুব একটা আগ্রহী তাতে মনে হচ্ছে না। তবে লক্ষ্য হলো প্রতিযোগিতার বিষয়টি সামলানো, কোনো সংঘাতের ঝুঁকি যাতে তৈরি না হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়া এবং নিশ্চিত করা যেন যোগাযোগটা অব্যাহত থাকে। বাইডেন-শির বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (অ্যাপেক) সম্মেলন চলাকালে। চীনের দিক থেকে আগ্রহের শীর্ষে ছিল তাইওয়ান প্রসঙ্গে আলোচনা, যেখানে সামনের বছরের শুরুতে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এই স্বশাসিত দ্বীপ দেশটিকে নিজেদের অংশ বলে মনে করে চীন। শি হয়তো নিশ্চয়তা চাইবেন যুক্তরাষ্ট্র যেন কোনোভাবেই তাইওয়ানের এই স্বাধীনতার দাবিকে সমর্থন না করে। অন্যদিকে বাইডেন তাইওয়ানের আশপাশে বেইজিংয়ের সামরিক তৎপরতা নিয়ে মার্কিনি উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও