কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ট্রাম্পের পথেই বাইডেন

দেশ রূপান্তর গাজা রায়হান আহমেদ তপাদার প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০২৩, ১০:১৯

ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল ইস্যুতে বিভাজন বেড়েই চলেছে। নিউ ইয়র্ক, প্যারিস ও লন্ডনের মতো শহরগুলোতে ফিলিস্তিনপন্থিদের বড় বড় কর্মসূচি পালিত হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলপন্থিরাও কর্মসূচি পালন করেছে। তবে এবার বিশেষভাবে যেটা লক্ষণীয়, এই ডামাডোলের মধ্যেই মধ্যপন্থি ইহুদিরা সবচেয়ে স্পষ্ট ভাষায় গাজায় ইসরায়েলের বোমা হামলা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন। তাদের সমালোচনা হলো, চোখ ধাঁধানো নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও নেতানিয়াহু ও তার অতিডানপন্থি মন্ত্রিসভা হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে। এ পর্যায়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা চরম পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা নেতানিয়াহু সরকারকে দোষারোপ করেছেন। তাদের ভাষ্য, হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে বেসামরিক লোকদের হত্যা ও বন্দি করেছে। এটা ন্যক্কারজনক ও ভুল পদক্ষেপ। এ হামলা ফিলিস্তিন ইস্যুকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এ ঘটনার সূত্র ধরে পুরো ফিলিস্তিনি জাতির ওপর বিভীষিকা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমা রাজনীতিবিদ ও গণমাধ্যমে উৎকটভাবে ইসরায়েলপন্থি ভাষা ব্যবহার করে চলেছে কিন্তু গাজায় যে গণহত্যা চলছে, তার জন্য সমান মাত্রার নৈতিক অবস্থান দেখা যাচ্ছে না। পশ্চিমা বিশ্বে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন মহৎ ও পবিত্র বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন সন্দেহজনক, বিপজ্জনক ও সম্ভাব্য অপরাধ বলে মনে করা হয়। দুপক্ষের একটি রক্তাক্ত নৃশংসতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। একেকজন ইসরায়েলি হত্যার ঘটনার পর অনিবার্যভাবেই আগের চেয়ে ধ্বংসাত্মক সামরিক অভিযানের মাধ্যমে নির্বিচার পুরো জনগোষ্ঠীর ওপর প্রতিশোধ নেওয়া হয়। ৩ বছর আগে জো বাইডেন যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন, তখন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনগুলো আশাবাদী হয়েছিল। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীরা আশা করেছিল, এবার হয়তো ফিলিস্তিন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। 


বাইডেনের পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার সর্বাত্মকভাবে ইসরায়েলের উগ্র ডানপন্থিদের প্রকাশ্য সমর্থন দিয়েছিল। ট্রাম্পের বর্ণবাদী আচরণে এখন পর্যন্ত অনেকে মনে করে থাকেন, ফিলিস্তিনিদের জন্য ট্রাম্পের সরকারই ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে নিকৃষ্ট মার্কিন সরকার। কিন্তু আজ দেখা যাচ্ছে, বাইডেন গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যাভিত্তিক আগ্রাসনকে আলিঙ্গন করেছেন। গাজায় ইসরায়েল কর্র্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে, পানি, খাবার ও ওষুধ বন্ধ করে দিয়ে পৈশাচিক উন্মাদনায় যে গণহত্যা চালাচ্ছে, তাতে বাইডেন সর্বাত্মক সমর্থন দিয়েছেন। এই নৃশংসতাকে তিনি সরাসরি ন্যায্য বলে প্রতিষ্ঠিত করে যাচ্ছেন। ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধকে বাইডেন ধামাচাপা দিচ্ছেন এবং ইসরায়েলি প্রোপাগান্ডার পক্ষে সাফাই গেয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি গাজার আল আহলি আরব হাসপাতালে বোমা হামলা চালিয়ে সেখানে থাকা রোগী ও আশ্রয় নেওয়া পাঁচশজনের বেশি ফিলিস্তিনিকে একদিনে হত্যা করা হয়েছে। ইসরায়েল বলছে, এ হামলা তারা করেনি, এটি নাকি ইসলামিক জিহাদের কাজ। ইসরায়েলের এই দাবি যে সম্পূর্ণ মিথ্যা, তা প্রমাণে ভূরি ভূরি তথ্য হাজির করার পরও বাইডেন ইসরায়েলের দাবিকে সমর্থন দিয়েছেন। সব দিক থেকে বিবেচনা করলে দেখা যাচ্ছে, ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে অমানবিক ফ্যাসিবাদী আচরণ করার দিক থেকে বাইডেন তার পূর্বসূরি ট্রাম্পকে ছাড়িয়ে গেছেন। বাস্তবতা হলো, যুক্তরাষ্ট্র কখনোই তাদের ভাষায় ফিলিস্তিনি-ইসরায়েল সংঘাতের সৎ ও নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারী ছিল না, এখনো নেই। বরং যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই ইসরায়েলপন্থি আচরণ করেছে এবং ফিলিস্তিনিদের মৌলিক মানবিক অধিকারের বিষয়গুলো অস্বীকার করে এসেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও