দক্ষিণ সিটি এখন দুর্নীতিমুক্ত ঘোষণা

জাগো নিউজ ২৪ ড. মাহবুব হাসান প্রকাশিত: ২৪ মে ২০২৩, ০৯:৫৪

ঢাকা দক্ষিণ সিটি নাকি দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান। এই দাবি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি করেন। তার এই দাবি কতোটা খাঁটি তার একটি নমুনা আমরা দেবো একটু পরেই। তার আগে মেয়র তাপসের বক্তব্য আমরা পড়ে দেখি।


ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সব সরকারি সংস্থা, সরকারি অধিদপ্তর যা আছে, তার মধ্যে একমাত্র ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সবচেয়ে দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান।’


আজ মঙ্গলবার ( ১৬ মে, ’২৩) দায়িত্ব গ্রহণের তৃতীয় বর্ষপূর্তিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফজলে নূর তাপস এমন দাবি করেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটির নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে ‘উন্নত ঢাকার উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় ৩ বছর’ শীর্ষক এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।


ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, উদ্দেশ্য ছিল সুশাসিত ও দুর্নীতিমুক্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি দাঁড় করানো। এই তিন বছরে আজ বলতে পারি, একমাত্র ঢাকা দক্ষিণ সিটি সবচেয়ে দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান। কারণ, প্রথম দিন থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা ‘শূন্য সহনশীল’।(প্র/আ/১৬ মে, ২৩)


এরকম দাবি তিনি করতেই পারেন। কারণ, তিনি তো অব্যাহতভাবে খাসজমি দখলমুক্ত করে চলেছেন। তাঁর এই চেষ্টা অব্যাহত থাকলে আমরা তো বলতেই পারি তিনি যে দাবি করেছেন, তা শতভাগ না হোক, কিছুটা তো সত্য বটেই। অবৈধ দখলদাররা তো রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা ছায়া মানুষ বা ছায়া-রাজনীতিক। ছায়া মানুষদের ধরা খুবই কঠিন। তাদের আকার নেই প্রকার নেই, পিছলা যায়।


কত রকম সূত্র ধরে যে তারা তাদের দখলি স্বত্ব অব্যাহত রাখে, তার কি কোনো লেখাজোখা আছে। শুধু আইনি পেশায় থাকলে তিনি দখলদারদের ফোকড়গুলো দেখতে পেতেন। কিন্তু রাজনৈতিক সেক্টরে থাকলে দেখা/চেনা ফোকড়গুলো চোখে পড়লেও তা না দেখার একটি রাজনৈতিক অভ্যাস গড়ে ওঠে। এই যে তিনি দাবি করছেন যে দক্ষিণ সিটির অফিসগুলো এখন পুরোপুরিই দুর্নীতিমুক্ত- এই ঘোষণা দেওয়ার আগে কি তিনি তার অফিসের, শাখা অফিসে গিয়ে পরিবেশ পরিস্থিতি কি বিচার করেছিলেন? তিনি কি দেখে এসেছেন কি রকম অবর্ণনীয় পরিবেশে বসে তারা গ্রাহকদের সেবা দিচ্ছেন? সেই সব কর্মীরা যে বিশাল স্তূপের ফাইলের নিচে পড়ে থাকেন এবং সেবা দেন টু পাইস পাওয়ার আশায়, তা কি তিনি আঁচ করতে পারেন? না পারলে এই অভিজ্ঞতাটুকু পাঠ করুন, তাহলে বুঝতে পারবেন, সত্য কোথায় লুকিয়ে আছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও