পাকিস্তানে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণ সামরিক ব্যয়ের বিপুল বোঝা

প্রথম আলো মঈনুল ইসলাম প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০৬

পাকিস্তানের অর্থনীতি শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে। পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তিন বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। দেশটি অনেক দিন আগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ‘বেইল-আউট ঋণ’ চাইলেও সংস্থাটি এমন অনেক কঠোর শর্ত আরোপ করতে চাইছে, যেগুলো পূরণের ক্ষমতা পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর নেই।


এমনকি পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত বন্ধু চীন ও সৌদি আরবও এখন আর দেশটির দুরারোগ্য ভিক্ষাবৃত্তির ভার নিতে নারাজ। চীনা অর্থে নির্মিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর কিস্তির টাকা বহুদিন ধরে পরিশোধ না করায় ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে চীন।


যার কারণে গোটা পাকিস্তান ভয়াবহ লোডশেডিংসহ প্রায়ই বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের শিকার হচ্ছে। নাটকীয়ভাবে দাম বেড়ে ১ ডলার এখন ২৭৭ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি সমস্যা এমন ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছেছে যে এখন ১ কেজি আটার দাম ১৬০ রুপি এবং ১ কেজি চিনির দাম ৩০০ রুপি ছাড়িয়ে গেছে।

সাড়ে পাঁচ লাখের সেনাবাহিনীসহ সাত লাখের একটি সশস্ত্র বাহিনীর বোঝা বহন করতে হচ্ছে পাকিস্তানকে। অর্থনৈতিক যুক্তিতে কোনোভাবেই এই বোঝা বহন করা সম্ভব নয় পাকিস্তানের পক্ষে। কিন্তু জন্মশত্রু ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য এত বড় সেনাবাহিনী পুষছে তারা। ভারতের সঙ্গে নানা সময়ে যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলার অবশ্যম্ভাবী পরিণতি হিসেবে পাকিস্তান রাষ্ট্রটির প্রকৃত শাসনক্ষমতা ১৯৪৮-৫৮ পর্বে পর্দার আড়াল থেকে এবং ১৯৫৮-৭১ পর্বে সরাসরি সামরিক এস্টাবলিশমেন্টের করতলগত হয়ে গিয়েছিল।


পূর্ব পাকিস্তান হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার পর ১৯৭১-২০২৩ পর্বেও পাকিস্তানের শাসকের ভূমিকা থেকে সামরিক বাহিনীকে বেশি দিন দূরে সরিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। কিছুদিন পরপর সামরিক একনায়কেরা পাকিস্তানের ক্ষমতা দখল করছে। কখনো সিভিলিয়ান শাসকদের কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বাধ্য হলেও শাসনক্ষমতার প্রকৃত লাগাম নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে দিচ্ছে তারা।


বর্তমান পর্বে ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করা থেকে শাহবাজ শরিফকে ক্ষমতায় বসানোর পেছনেও সামরিক এস্টাবলিশমেন্টের কলকাঠিই আমরা দেখি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও