‘রঙ্গীত’–এর তোড়ে ভেসে যাচ্ছে সংগীত

প্রথম আলো সুজিত মোস্তফা প্রকাশিত: ০৪ আগস্ট ২০২২, ১৭:২২

আমরা অনেকেই দাবি করি, আমরা সিরিয়াস গান করি। তাহলে আমাদের ধারার বাইরের অন্যান্য ধারা কি সিরিয়াস নয়?


আসলে প্রত্যেকের নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে নিজেরগুলোই সিরিয়াস। এটা বলা যেতে পারে, আমরা একটা দীর্ঘদিনের চলমান ঐতিহ্যের ধারা বা ধারার ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টায় রত আছি। আমরা যদি দাবি করি, আমাদেরটাই সঠিক, বাকি সব ভুল। সেটা মোটেও সঠিক দাবি হবে না। সে রকম অন্যান্য ধারার কর্মীরা যদি আমাদের সেকেলে, অচল বলেন, সেটাও ঠিক হবে না। আমাদের ধারার রবীন্দ্র, নজরুল, বেসিক বাংলা, লোকজ ও সেমি ক্ল্যাসিক্যাল গানে কয়েক যুগের পরীক্ষিত, অভিজ্ঞতালব্ধ নান্দনিকতা এবং অন্যান্য নির্যাস মিশে একটা সুপ্রমাণিত ধারা সৃষ্টি হয়ে গেছে। এই সব ধারা সৃষ্টির লগ্নেও কিন্তু শ্রোতা তৈরি করতে হয়েছিল।


এখন যেসব ধারা নিয়ে নিরীক্ষা বা রীতিমতো প্রোডাকশনস চলছে, সেগুলোও তাদের শ্রোতাকুল তৈরি করেছে এবং করে চলেছে। এটাই নিয়ম। এগুলো সবই স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করাই যুক্তিযুক্ত। আমি দু–একটা ক্ষেত্রে কিছু বলার সুযোগ নিতে চাই।


প্রথমত, আমরা যে ধারাগুলো নিয়ে কাজ করি, সেগুলোর গভীরতা, অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য, আধ্যাত্মিকতা, কাব্যমান ও গুণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই উচ্চ মানের এবং প্রমাণিত। এটা আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির অবয়ব গঠন করেছে। এটাই আমাদের আত্মপরিচয়ের ঠিকানা। এখানে বিদেশি সংস্কৃতির আত্তীকরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকা সংগত, সেটাই প্রাকৃতিক নিয়ম, কিন্তু নিজস্বতার সিংহভাগ যেন বিসর্জিত না হয়, সেটা বোঝা খুবই জরুরি।


এ দেশে সংগীতকে পেশা হিসেবে নিয়ে জীবনধারণ খুব অল্পসংখ্যক মানুষের পক্ষে সম্ভব হলেও বেশির ভাগের জন্যই এটা এক অনতিক্রম্য চ্যালেঞ্জবিশেষ। কেন চ্যালেঞ্জ, সে বিষয়ে আমি লম্বা আলোচনা করতে পারি। আপাতত সেদিকে না গিয়ে একটি বিশেষ দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করি। মূলধারার সংগীতের সৌন্দর্যের মূল বিষয়টি এর ভাব, কবিতা, রস, নান্দনিকতা ছাড়াও শিল্পীর তৈরি, কণ্ঠসৌকর্য, পরিবেশনাগুণ ইত্যাদির ওপর নির্ভরশীল। বিভিন্ন সময় এই সংগীত শ্রোতার কাছে বিভিন্ন মাধ্যমে পৌঁছেছে। এলপি রেকর্ড, এক্সটেনডেড প্লে, রেডিও, স্পুল টেপ, টেলিভিশন, ক্যাসেট, সিডি, ডিভিডি, এমপি-থ্রি-ফোর প্লেয়ার ইত্যাদি। এখন বাণিজ্যিক প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব, ফেসবুক ও কিছু অনলাইন পোর্টালনির্ভর।


রেকর্ড কোম্পানি বা রেডিও, টিভি চ্যানেলগুলো নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল খুলে ফেলেছে। যাদের কনটেন্ট, গ্রাহক ও ভিউ বেশি, তারা বেশি উপার্জন করছে। একজন ব্যক্তির পক্ষে নিজস্ব কনটেন্ট বানিয়ে, ভিডিও বানিয়ে আপলোড করা, চ্যানেল ম্যানেজ করা ব্যয় ও সময়সাপেক্ষ। খরচের তুলনায় দু-চারজন কিছু উপার্জন করলেও মূল শিল্পীকুলের অবস্থা অসহায়। বাণিজ্যিক চাহিদাসম্পন্ন কিছু শিল্পীকে প্রডিউসার ও বিপণন কোম্পানিগুলো কিছু অর্থ দেয়, কিন্তু একটি দেশের সংগীতকে বাঁচিয়ে রাখা এভাবে সম্ভব নয়। রেডিও-টিভির অনুষ্ঠান ফ্রিকোয়েন্সি এবং সম্মানী বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রীতিমতো হাস্যকর এবং অসম্মানজনক।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও