মানসিক খাদ্যের ব্যাপারে এত উদাসীনতা কেন
অনেক দিন আগের কথা। এক লোক ঘোড়ায় চড়ে যাচ্ছে। পরিচিত একজন জিজ্ঞাসা করলেন, কোথায় যাচ্ছেন? তিনি স্মিত হেসে বললেন, তা তো জানি না। তখন সেই ব্যক্তি পাল্টা প্রশ্ন করলেন, তাহলে কে জানেন? তিনি খুব আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বললেন, আমার ঘোড়া জানে! বহুদিন আগে ড্যারেন হার্ডির লেখা ‘দ্য কম্পাউন্ড ইফেক্ট’ বইতে ঘটনাটি পড়েছিলাম। আজকাল কেন যেন চারপাশে এমন অসংখ্য ঘোড়সওয়ারকে প্রতিনিয়ত দেখছি। তারা অবিরত ছুটে চলেছেন। কিন্তু ঠিক কোথায় যাচ্ছেন, কেনইবা যাচ্ছেন তা নিজেরাও জানেন না। হয়তো সেটা জানে তাদের স্মার্টফোন!
বহু লোক প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিভিন্ন গেমস, ভিডিও শেয়ারিং সাইট বা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিচরণ করছেন। কিন্তু তার শেষটা কোথায়, সেটা তারা নিজেরাও জানেন না। এমনকি কেনইবা তারা সেখানে জীবনের এত মূল্যবান সময়, মনোযোগ ও শক্তির অপচয় করছেন তারও সন্তোষজনক জবাব নেই। অথচ তারা সেটা নিত্যদিন করছেন। অন্যান্য কাজে ফাঁকি দিয়ে হলেও সেটা অব্যাহত রেখেছেন।
ঈদের ছুটিতে দীর্ঘ পথ জার্নি, পরিচিতজনদের সঙ্গে আলাপ, বন্ধুদের আড্ডা সব জায়গায় কেন যেন গল্পে বর্ণিত ওই ঘোড়ার দাপট প্রবলভাবে লক্ষ করছিলাম। আগে ভ্রমণের সময় কিছু মানুষকে বই বা সংবাদপত্র পড়তে দেখা যেত। সেটা যারা করত না তারা পাশের জনের সঙ্গে গল্প করত। আমার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ট্রেন ও বাস জার্নির সময় পাশের সিটে বসা ব্যক্তির সঙ্গে আলাপের সূত্র ধরে অনেক উপকার ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ পেয়েছি।