তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ছায়া অথবা ‘ব্যাটল অব ফাইভ আর্মিজ’

বিডি নিউজ ২৪ সাইফ তারিক প্রকাশিত: ০৬ জুলাই ২০২২, ১৬:০০

ইউক্রেইনের রণাঙ্গনে রাশিয়ার সার্বিক অগ্রগতি ভালো। বিশেষ সামরিক অভিযানের তিনমাসে কয়েকজন জেনারেল র‌্যাঙ্কের অফিসার নিহত হয়েছে এবং ব্ল্যাক সি ফ্লিটের ফ্ল্যাগশিপ মস্কোভা দুর্ঘটনায় অথবা ‘আয়োজিত’ দুর্ঘটনায় নিমজ্জিত হয়েছে বটে, তবু এখন পর্যন্ত যুদ্ধের ফল রুশ বাহিনীর জন্য ইতিবাচক। রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, রণাঙ্গনে অগ্রগতি পরিকল্পনা অনুযায়ীই হচ্ছে।


লুহানস্ক ও তার পার্শ্ববর্তী দোনেৎস্ক মিলেই দনবাস; জুলাইয়ের ৩ তারিখে রাশিয়া লিসিচ্যাংস্ক শহর পুরোপুরি দখলে নেওয়ার পরপরই তাদের দনবাস দখলের লক্ষ্য অর্ধেক পূরণ হয়ে গিয়েছে।


ইউক্রেইনের পূর্বের লুহানস্ক প্রদেশ, বিশেষ করে জমজ শহর সিয়েভিয়ারোদোনেৎস্ক ও লিসিচ্যাংস্কের লড়াইয়ে উভয়পক্ষই বিপুল পরিমাণ সৈন্য হারিয়েছে। রাশিয়ার টানা গোলাবর্ষণের কারণে দুই শহর থেকেই শেষ পর্যন্ত কিইভবাহিনীকে পিছু হটতে হয়।


ইউক্রেইনের সেভেরোদনেৎস্ক মিলিটারি গ্যারিসন ছিল লিসিচ্যাংস্কে। ২০১৪ সালে ইউক্রেইনে সংঘটিত ‘ইউরো ময়দান ক্যু’- এর পর লোহান্স্ক ও দনেৎস্ক এলাকা নিজেদের ‘পিপলস রিপাবলিক’ হিসাবে ঘোষণা করে। সম্প্রতি রাশিয়া তাদের স্বাধীনতা ঘোষণার স্বীকৃতি দিয়েছে। এ দুটি এলাকায় রাশিয়ার স্পেশাল মিলিটারি অপারেশন (এসএমও) চলছে। নিরাপত্তা ও সামরিক বিষয়াদির বিশ্লেষক আন্দ্রেই মার্তিয়ানভের মতে ‘স্পেশাল কমব্যাট পুলিশ অপারেশন’ চলছে ইউক্রেইনে। এখন পর্যন্ত বিশেষ অভিযানে ‘দনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’-এর ৫০ শতাংশের কিছু বেশি এলাকা মুক্ত হয়েছে। অভিযানের দ্বিতীয় পর্যায় (ফেইজ) চলছে এখন।


সীমিতসংখ্যক সেনাসদস্য নিয়ে যৌথভাবে এ অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। মোটামুটি ৭০-৮০ হাজার রুশ সেনা, আর লোহান্স্ক ও দনেৎস্কের পিপলস মিলিশিয়া বাহিনী রয়েছে এ অভিযানে। পূর্ণ সামরিক শক্তি নিয়ে তারা রণাঙ্গনে নামেনি। এখন পর্যন্ত নামার প্রয়োজন হয়নি। ভবিষ্যতে যে নামবে না সেকথা হলফ করে বলা যায় না। শুধু রাশিয়া তথা রুশ ফেডারেশন নয়, অল্টারনেটিভ মিডিয়ার অধিকাংশই রণাঙ্গনের এ অগ্রগতির কথা বলছে। বহুবিবৃত এবং রুশ পরিমণ্ডলে জননন্দিত এ ভাষ্যের বিপরীতে আছে শুধু বিবিসি, সিএনএন, এমএসএনবিসি, ব্লুমবার্গ, এএফপি, ডয়চে ভেলে, পলিটিকো, দ্য মেইল প্রভৃতি তথাকথিত মেইনস্ট্রিম মিডিয়া- পল ক্রেইগ রবার্টস যাদের ‘প্রেস্টিটিউট’ বলে থাকেন। তাদের গলাও এখন নিচু হয়েছে। যুদ্ধ শুরুর এক মাস পর্যন্ত তাদের গলা যত চড়া ও চওড়া ছিল, এখন আর তেমন নেই। চোরের মা মারা যায়নি বটে, তবে তার বড় গলাও এখন আর নেই। সম্ভবত তা ‘খোদার আশির্বাদ’, যাকে বলে গডস্ উইল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও