মির্জা সাহেবের পুরস্কার কিচ্ছার গোমর ফাঁস

বহুকাল আগে প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের একটি নাটকের কাহিনী ছিল এমন- একজন অসাধু-বিত্তবান ব্যক্তি নির্বাচনে জয়লাভের জন্য কিছু মাস্তান প্রকৃতির লোকের সমন্বয়ে একটি ভুয়া গোষ্ঠী দাঁড় করিয়েছে। তারপর নিজের জনপ্রিয়তা বাড়াতে সেই গোষ্ঠীকে পরামর্শ দেয় তাকে যেন একটি ভুয়া সম্মাননা দেয় । কিন্তু ফল হয়েছিল বিপরীত। পুরো ব্যাপারটা হলো ভোটারদের বুঝতে অসুবিধা হয়নি বিধায়- যারা তাকে ভোট দিতে চেয়েছিলেন, তারাও পরে বেঁকে বসেন। পরিণতি হলো পরাজয়। অনন্য মেধার অধিকারী হুমায়ূন আহমেদ এ ধরনের বহু নাটকের মধ্য দিয়ে সামাজিক অনাচারসমূহ ব্যাঙ্গাত্মকভাবে প্রকাশ করেছেন।


বাস্তবেও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায়ও ভুয়া পদক নিয়ে সুনাম কেনার দৃষ্টান্ত রয়েছে, যার একটি উগান্ডার প্রাক্তন স্বৈরশাসক ইদি আমিনকে নিয়ে। যে কথা বর্তমান সময়ের একজন নিষ্ঠাবান এবং সাহসী লেখক সৈয়দ বোরহান কবির সাহেব সম্প্রতি লেখা এক প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন। ইদি আমিনই একমাত্র উদাহরণ নয়। এ ধরনের ভুয়া পদক নিয়েছিলেন আরো অনেক রাষ্ট্রীয় কর্ণধার যাদের মধ্যে ইরানের পদচ্যুত শাহের নাম উল্লেখযোগ্য যিনি ’আর্য মহর’ সম্মাননা ক্রয় করেছিলেন। বহু শতক পূর্বে গজনীর অত্যাচারী সুলতান মাহমুদ তার ক্রীতদাস পরিচয় থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সেকালের বিখ্যাত ফার্সি কবি ফেরদৌসিকে ষাট হাজার স্বর্ণ মুদ্রা দেওয়ার অঙ্গীকার করে বলেছিলেন তাকে প্রশংসাসূচক সম্মাননা জানিয়ে যেন কবি ফেরদৌসি একটি কাব্যগ্রন্থ রচনা করেন। ফেরদৌসি ঠিকই সুলতান মাহমুদের প্রশংসায় ’শাহনামা’ কাব্য লিখেছিলেন যা ছিল সুলতান মাহমুদকে একটি সম্মাননা দেওয়ার মতোই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও