সমন্বয়হীনতার দেশে লকডাউন ও মুভমেন্ট পাস
ট্রাফিক সিগন্যালে ট্রাফিক পুলিশের হাতের ইশারা আর ট্রাফিক লাইটের সংকেত একটা আরেকটার সঙ্গে মেলে না। কেন বলুন তো? গাড়িচালক সহকর্মীর এমন প্রশ্ন শুনে উল্টো প্রশ্ন করেছিলাম, কেন? তিনি বলেছিলেন, বাতি জ্বালায় সিটি করপোরেশন আর হাত তোলে পুলিশ। দুই জনের মধ্যে কোনো মিলমিশ (সমন্বয়) নেই।
সমন্বয়ের এই সংকট আমাদের নাগরিক জীবনের সবখানেই। গ্যাস কোম্পানি রাস্তা খুঁড়ে রাখে, ওয়াসা রাস্তা খুঁড়ে রাখে; অথচ রাস্তার মালিক সিটি করপোরেশন। আজ যে রাস্তা ঝকঝকে কার্পেটিং করা হলো, মাসখানেক বাদেই সেই রাস্তা খুঁড়ছে সরকারেরই অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান। অথচ দুটো প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় থাকলে খোঁড়াখুঁড়ির কাজটা আগে করে পরে কার্পেটিংটা করা যেত।
লকডাউন-বিষয়ক ঘোষণা ও তারপর একের পর এক সম্পূরক ঘোষণা মিলে সাধারণ নাগরিকেরা বিভিন্ন বিষয়ে এখন বিভ্রান্ত। সরকার একটি সার্বিক নির্দেশনা যদি একবারে জনগণের সামনে পেশ করত, তাহলে তাদের জন্য সেটা মেনে চলা সহজ হতো। কিন্তু, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পরে ভিন্ন ভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ভিন্ন ভিন্ন ঘোষণা ও নির্দেশনা দেওয়ায় চূড়ান্তভাবে কোন বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে, কী কী নির্দেশনা নাগরিকদের মেনে চলতে হবে, সেটা মনে রাখা নাগরিকের জন্যে কঠিন হয়ে গেছে।