বাংলাদেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণে প্রত্যাশা ও বাস্তবতা
বাংলাদেশের কৃষি এখন এক সংকটময় সন্ধিক্ষণে। একদিকে বাড়ছে জনসংখ্যা, কমছে আবাদি জমি; অন্যদিকে কৃষিশ্রমিকের অভাব ভয়াবহ আকার নিয়েছে। স্বাধীনতার পর যেখানে মোট শ্রমশক্তির প্রায় ৭৫ শতাংশ কৃষিনির্ভর ছিল, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) শ্রমশক্তি জরিপে দেখা যায়, ২০২২ সালে তা নেমে এসেছে প্রায় ৪৫ শতাংশে। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে কৃষিতে কর্মরত মানুষের হার নেমে আসবে ২০ শতাংশে।
এমন পরিস্থিতিতে উৎপাদন বাড়ানোর একমাত্র টেকসই উপায় হলো কৃষি যান্ত্রিকীকরণ; যেখানে যন্ত্র শ্রমের বিকল্প হয়ে উঠছে, উৎপাদন ব্যয় কমাচ্ছে, আর কৃষককে বাজার প্রতিযোগিতায় টিকিয়ে রাখছে।
বাংলাদেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের সূচনা ষাটের দশকে, তখন হাতে আসে পাওয়ার টিলার ও সেচপাম্প। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে সরকারি উদ্যোগে ৪০ হাজার লো-লিফট পাম্প বিতরণ করা হয়। এরপর ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যার পর সরকার আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করলে বেসরকারি খাত যন্ত্র ব্যবসায় প্রবেশ করে। যান্ত্রিকীকরণের গতি তখন থেকে বাড়তে থাকে।