ইউনূসের ‘পদত্যাগ’ ভাবনা, যেভাবে সংকট কাটতে পারে

প্রথম আলো সাইমুম পারভেজ প্রকাশিত: ২৪ মে ২০২৫, ১১:২২

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের হতাশা প্রকাশ ও পদত্যাগ করার ভাবনা প্রসঙ্গে নানা আলোচনার জন্ম হয়েছে। বাড়ছে গুজব, অনিশ্চয়তা ও প্রশাসনিক স্থবিরতা, যা সংকট হয়ে উঠতে পারে।


গত ৫ আগস্ট কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতন ও গণবিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনার পলায়নের পরে শাসনক্ষমতায় যে শূন্যতা তৈরি হয়েছিল, তার প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক দল, গোষ্ঠী ও সেনাবাহিনীর ঐকমত্যের ভিত্তিতেই অধ্যাপক ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে এই অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছিল। অর্থাৎ অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের যে জনভিত্তি ও বৈধতা, তা তৈরি হয়েছে গণতন্ত্রের পক্ষের রাজনৈতিক দল ও ছাত্র-জনতার সমর্থনের কারণেই।


বাংলাদেশে জনসমর্থন ও সাংগঠনিক কাঠামোর বিস্তার ও কার্যকারিতার দিক থেকে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল এখন বিএনপি। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সময় এবং পরেও এই সরকারের প্রতি সরাসরি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন এবং এ সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না বলে পরিষ্কার করেছেন।


অন্যান্য রাজনৈতিক দলেরও সমর্থন পেয়ে এসেছে অন্তর্বর্তী সরকার। নাগরিক সমাজের মধ্যেও গণ-অভ্যুত্থানে গঠিত এই সরকারের পক্ষে ছিল উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও আশা। কিন্তু কোন পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বিএনপি, নাগরিক সমাজের সঙ্গে এই সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বের দূরত্ব তৈরি হলো, তা বিশ্লেষণের প্রয়োজন রয়েছে।


বিএনপি প্রথম থেকেই খুব জরুরি সংস্কারে ঐকমত্য তৈরি করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বারবার আহ্বান করেছে। গত আট মাসে এই প্রথম মেয়র ইশরাকের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত করতে সরকারের গড়িমসি ও ছাত্রদল নেতা সৌম্য হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে রাজপথে অবস্থান নিল বিএনপি। এখন পর্যন্ত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার দাবিতে রাজপথে বড় ধরনের আন্দোলন করেনি বিএনপি।


অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে একটি অংশ এত দিন বিএনপির সাংঘর্ষিক অবস্থান না নেওয়ার সিদ্ধান্তকে ‘দুর্বলতা’ হিসেবে দেখেছিলেন। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের মনে রাখা উচিত, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একমাত্র বিএনপিরই দেশব্যপী আন্দোলন করার সাংগঠনিক শক্তি রয়েছে। এমনকি রাজধানী ঢাকাতেও বিএনপির জনসমর্থনের যে ভিত্তি ও রাজপথে সাংগঠনিক শক্তির যে সামর্থ্য, তাকে খাটো করে দেখা ভুল হবে।


সরকারের ভেতরে থাকা একটি ছোট চক্র, কিছু ‘জনতুষ্টিবাদী’ ইউটিউবার ও মব উসকে দেওয়া কয়েকজন ব্যক্তি ছাড়া এই সরকারের জনভিত্তি ও শক্তির উৎস যে মূলত রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের কাছ থেকেই আসে, তা সবার কাছেই পরিষ্কার।


প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি, নাগরিক সমাজ ও অতিসম্প্রতি সেনাপ্রধানের বক্তব্যে ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার বিষয়টি জোরালোভাবে উঠে এসেছে। অর্থাৎ যে রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও সামরিক সমর্থনে এই সরকার গঠিত হয়েছিল, তাদের মধ্যে ডিসেম্বরে বা খুব শিগগিরই নির্বাচন অনুষ্ঠান করার বিষয়ে একটি ঐকমত্য আমরা লক্ষ করছি।


এর বাইরে জামায়াতের নেতাদের বক্তৃতায়ও বিভিন্ন সময় ডিসেম্বরে না হোক, আগামী বছরের প্রথম দুই-এক মাসের মধ্যে নির্বাচন করার কথা উঠে এসেছে। অধ্যাপক ইউনূসের পদত্যাগ বিষয়ে আলোচনা ওঠার পর এনসিপির দু-একজন জ্যেষ্ঠ নেতাও নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করতে পেরেছেন বলে তাঁদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় অধ্যাপক ইউনূসকে ক্ষমতায় রেখেই যত তাড়াতাড়ি, সম্ভব হলে ডিসেম্বর বা তার আগেই একটি জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা উচিত।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও