ঋণ-অভাব-হত্যা-আত্মহত্যা ও রাষ্ট্রের ব্যর্থতার গল্প

বিডি নিউজ ২৪ চিররঞ্জন সরকার প্রকাশিত: ১৬ আগস্ট ২০২৫, ১০:৫৪

দেশে সংস্কার-প্রচেষ্টা আর নির্বাচন নিয়ে তোড়জোড়ের ঢাকঢোল এমনভাবে বাজছে যে ফেব্রুয়ারির সম্ভাব্য ভোট, সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়—এসব ঘোষণার শব্দে গ্রামীণ বাংলার কান্না চাপা পড়ে যাচ্ছে। এই রাজনৈতিক কোলাহলের আড়ালে রাজশাহীর মতিহার থানার বামনশিকড় গ্রামে ঘটে গেছে নীরব কিন্তু করুণ এক মৃত্যুকাহিনি—ক্ষুধা আর ঋণের দমবন্ধ চাপে নিভে গেছে একই পরিবারের চারটি প্রাণ।


মিনারুল ইসলাম, এক সাধারণ গ্রামীণ মানুষ, যিনি প্রতিটি দিন অভাবের সঙ্গে লড়েছেন, শেষমেশ স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যা করে নিজেও আত্মহত্যা করেছেন। রেখে গেছেন এক টুকরো চিরকূট—‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে। এত কষ্ট আর মেনে নিতে পারছি না।’ এই কয়েকটি শব্দ শুধু এক ব্যক্তির হতাশা নয়; এটি রাষ্ট্র, সমাজ ও অর্থনীতির অক্ষমতার নগ্ন স্বীকারোক্তি, যেখানে ক্ষুধা ও ঋণের ভারে মানুষ জীবনের সব সম্পর্ক, সব আশা ছিঁড়ে ফেলে মৃত্যুকে মুক্তি মনে করে।


মিনারুলের জীবন আমাদের দেশের লাখো দরিদ্র মানুষের প্রতিচ্ছবি। নির্দিষ্ট পেশা ছিল না, যে দিন যে কাজ পেতেন, তাই করতেন এবং ওই কাজের বিনিময়ে যা পেতেন, তাই দিয়ে সংসার চলত। কৃষিকাজ, ঠিকা শ্রম, বাসের হেলপার—সবকিছুই করেছেন তিনি। তবুও সংসারের প্রয়োজন মেটেনি। এই অভাবের ফাঁক পূরণ করতে গিয়ে তিনি পড়ে যান এনজিও ও বেসরকারি ঋণের চক্রে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও