
বিজ্ঞানের আলোকে জন্মাষ্টমীর মাহাত্ম্য
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সনাতন বা হিন্দু ধর্মের প্রধান দেবতা। যিনি বিষ্ণুর অষ্টম অবতার এবং স্বয়ং পরমেশ্বর ঈশ্বর হিসেবেও পরিচিত। ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ্বর (শিব) হিন্দু ধর্মের তিন প্রধান দেবতা এবং এদের একত্রে ত্রিমূর্তি বা ত্রিদেব বলা হয়। ব্রহ্মা হলেন সৃষ্টির দেবতা, বিষ্ণু পালনকর্তা এবং মহেশ্বর বা শিব ধ্বংসের দেবতা। এই তিনজন দেবতা মিলে মহাবিশ্বের সৃষ্টি, স্থিতি ও প্রলয়ের চক্র পরিচালনা করেন বলে হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভক্তরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হিন্দু ধর্মগ্রন্থ, বিশেষ করে শ্রীমদ্ভাগবদ্গীতার প্রধান চরিত্র। তিনি তাঁর করুণা, প্রেম এবং সুরক্ষার জন্য পরিচিত। তাঁকে প্রায়শই একজন যুবক ব্যক্তিত্ব, বাঁশি বাজানো, অথবা একজন জ্ঞানী শিক্ষক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। মহাভারতে ধর্ম যুদ্ধের সময় অর্জুনের রথের সারথি ছিলেন স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ।
শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে যুদ্ধের ময়দানে পথ দেখিয়েছিলেন এবং তাকে তার কর্তব্য পালনে সহায়তা করেছিলেন। মহাভারতে ধর্ম যুদ্ধ বলতে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধকে বোঝায়, যেখানে পাণ্ডব ও কৌরবদের মধ্যে ধর্ম ও ন্যায়ের জন্য যুদ্ধ হয়েছিল। এই যুদ্ধে ধর্মের জয় এবং অধর্মের বিনাশের বার্তা ছিল। শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটে দুষ্টের দমন শিষ্টের পালনের জন্য।
- ট্যাগ:
- মতামত
- জন্মাষ্টমী
- শুভ জন্মাষ্টমী