বিশ্বের বাজারে প্রথম কোমল পানীয়ের আবির্ভাব ঘটে সপ্তদশ শতাব্দীতে। তখনকার সফট ড্রিংকস ছিল পানি, লেবু ও মধুর মিশ্রণ, যা প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি ও সতেজ ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কোমল পানীয় তৈরির প্রক্রিয়ায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে এসব পানীয়তে ব্যবহৃত হয় বিভিন্ন কৃত্রিম ফ্লেভার, চিনি (প্রায় ১২ শতাংশ) এবং স্বাদের জন্য কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস।
বেশির ভাগ সফট ড্রিংকসে এত পরিমাণ চিনি থাকে যা একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক গ্রহণযোগ্য সীমার চেয়েও বেশি। অতিরিক্ত এই চিনি গ্রহণের ফলে শরীরে মেটাবলিক সিনড্রোম দেখা দিতে পারে। এটি একটি জটিল উপসর্গসমষ্টি, যেখানে উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে অতিরিক্ত চিনি, পেটের চর্বি ও কোলেস্টেরলের ভারসাম্যহীনতা একসঙ্গে দেখা দেয়। ফলে হৃদরোগ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বহুগুণে বেড়ে যায়। তবে এসব ক্ষতিকর দিক ছাড়াও বর্তমানে কোমল পানীয়তে ক্ষতিকর মাইক্রোপ্লাস্টিকেরও অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে।