কম দামে ইলিশ খেতে চাই

জাগো নিউজ ২৪ ড. মো. ফখরুল ইসলাম প্রকাশিত: ১৩ আগস্ট ২০২৫, ১৩:১৮

সম্প্রতি ‘ইলিশের দামের লাগাম টানতে কেন্দ্রীয়ভাবে মূল্য নির্ধারণে যাচ্ছে সরকার-’ শীর্ষক খবরে চোখ আটকে গেল। ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টার সম্মতি পাওয়ার পর বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে ইলিশের দাম নির্ধারণের একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল এবং সেটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ হয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করা হলে তিনি এতে সম্মতি দিয়েছেন।


আমাদের জাতীয় মাছ ইলিশের স্বাদ ও সুনামের সুযোগ নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম নির্ধারণ করছেন। ফলে সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে ইলিশ। শুধু পদ্মানদী বা মেঘনা, যমুনার ইলিশ নয়—বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, কক্সবাজার, বরগুনা, ঝালকাঠিসহ দেশের ১০ থেকে ১২টি উপকূলীয় জেলা থেকে ইলিশ আহরণ করা হয়। অথচ এসব জায়গায় উৎপাদনের কোনো সরাসরি খরচ না থাকলেও সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে ইলিশের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে।


বাংলাদেশে ইলিশ শুধু একটি প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন মাছ নয়। এটি এক আবেগ, এক স্বাদ, এক সংস্কৃতি এবং পরিচয়ের প্রতীক। এই মাছকে ঘিরে উৎসব, রাজনীতি, কূটনীতি এমনকি কাব্যচর্চাও হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এই রূপালী জলের রাজার দামে যে ‘নৈরাজ্য’ দেখা দিয়েছে, তাতে ইলিশ আজ সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। তাই দেশের সাধারণ মানুষেরা ক্রয়ক্ষমতা এবং বাজারব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছে।


বাজার নিয়ন্ত্রণের ঘাটতি ও পর্যাপ্ত নজরদারির অভাব থাকায় মাছ ধরার মৌসুম এলেই বাজারে গুজব ছড়ায় ‘মেঘনায় আর মাছ নেই’, ‘বড় ইলিশ উঠছে না’, ‘জেলেরা নেমেই পারেনি’, ইত্যাদি। অথচ একই সময় দেখা যায়, ভারতে হাজার টন ইলিশ রপ্তানির প্রস্তুতি চলছে। তাহলে প্রশ্ন ওঠে, এসব গুজব কারা ছড়ায়, আর কীভাবে তারা বাজারকে প্রভাবিত করে?


আমাদের উৎসব-পার্বণ হোক বা নিত্যদিনের বাজার, ইলিশের দাম যেন এক স্বেচ্ছাচারী চরিত্রে রূপ নিয়েছে। এক অঞ্চলে যেখানে এক কেজি ইলিশ ১২০০ টাকা, সেখানে অন্য অঞ্চলে তা ২৬০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।যার কোনো যৌক্তিকতা নেই, নেই কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ।


ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অন্যতম প্রধান কারণ হলো কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো একক মূল্য নির্ধারণ না থাকা। কৃষিপণ্য বা মাছের ক্ষেত্রে অঞ্চলভেদে কিছুটা দামের পার্থক্য যৌক্তিক হলেও, ইলিশের ক্ষেত্রে তা মাত্রাতিরিক্ত। বরিশাল, চাঁদপুর বা ভোলার বাজারে যেখানে ইলিশ তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যায়, ঢাকায় তার দাম দ্বিগুণ হয় কীভাবে? একেকজন বিক্রেতা একেক মূল্য চেয়ে থাকেন—কেউ বলে ‘খাঁটি পদ্মার ইলিশ’, কেউ ‘একদম নতুন’ বলে দাম বাড়ায়। অথচ এসব দাবির প্রমাণ নেই, মান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাও নেই। ফলে বাজারে দেখা দিয়েছে নৈরাজ্য, আর সাধারণ ভোক্তা পড়ে গেছে অসহায় অবস্থায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও