১৪ দলে টানাপোড়েন: আদর্শ বনাম অপ্রাপ্তিযোগ

সমকাল সাইফুর রহমান তপন প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৬

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ‘আদর্শিক’ জোট ১৪ দল কি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে? প্রশ্নটা তোলার কারণ হলো, জোটের প্রধান দলের সঙ্গে অন্যদের– বিশেষত বাম শরিকদের মধুচন্দ্রিমা বহু আগেই শেষ হয়েছে; এখন নাকি তারা এমনকি বিচ্ছেদের কথাও ভাবছে। 


সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় শরিক দলগুলোর নেতা কেউ কেউ স্বীকার করেছেন, রাজনীতিতে তাদের প্রভাব কমে আসছে। আওয়ামী লীগও শরিকদের গুরুত্ব দিচ্ছে না। তাই প্রথম আলো রোববার যেমনটা লিখেছে, “শরিকেরা নিজেরা আগবাড়িয়ে বলবে না যে তারা ১৪-দলীয় জোটে নেই; বরং নিজেদের মতো করে ‘জনবান্ধব’ ইস্যুতে কর্মসূচি পালন করবে। পাশাপাশি অন্য শরিকদের সঙ্গে ঐক্যের বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে যাবে।” এমনকি একই প্রতিবেদনমতে, ওয়ার্কার্স পার্টি আগের ১১ দলীয় জোটকে সক্রিয় করার চেষ্টা চালাচ্ছে।


২০০৫ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দল গঠনের আগে ওয়ার্কার্স পার্টি, সিপিবি, বাসদসহ দেশের মূলধারার প্রায় সব বাম দল এবং উদারপন্থি বলে পরিচিত ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম ও গণতন্ত্রী পার্টি মিলে ১১ দল নামে একটি জোট ছিল। সিপিবি ও বাসদ বাদে ওই জোটের সবাই আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব মেনে ১৪ দল গঠন করে।


আওয়ামী লীগের সঙ্গে ১৪ দলের অন্য শরিকদের সম্পর্ক অন্তত ২০১৮ সাল অবধি বেশ ভালোই ছিল। জোট শরিকদের মধ্যে চারজন মন্ত্রিত্বের স্বাদ পান– ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এবং বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া। শাসক দলের বদান্যতায় বিগত তিনটি সংসদে বিশেষত ওয়াকার্স পার্টি ও জাসদের সংসদ সদস্য সংখ্যাও ছিল সম্মানজনক। উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের বাইরে ১৪ দলে শুধু এই দুই দলেরই রাজনীতির মাঠে মোটামুটি দৃশ্যমান তৎপরতা আছে। তাই বরাবরই শাসক দলের কাছে এদের খাতির একটু বেশিই দেখা গেছে।


তবে ২০১৮ সালে এককভাবে সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগ জোট সদস্যদের বলে বিরোধী দলে বসতে। প্রধান শরিকের প্রায় অযাচিত এ পরামর্শের বিরুদ্ধে ওয়াকার্স পার্টি ও জাসদ প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করে। মূলত তখনই বোঝা যাচ্ছিল, আওয়ামী লীগের কাছে ১৪ দলের প্রয়োজন ফুরিয়ে আসছে। যে কারণে বলা যায়, অন্তত গত সরকারের প্রায় পুরো মেয়াদে জোটটি নিষ্ক্রিয় ছিল। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের কয়েক মাস আগে– তাও শরিকদের চাপাচাপিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জোটের একটা বৈঠক হয়। শুধু তাই নয়, আগের নির্বাচনগুলোতে জোট শরিকরা আওয়ামী লীগের কাছ থেকে ১২-১৬টি আসনে ছাড় পেয়ে গড়পড়তা ছয়-সাতটি আসনে জিতলেও, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে মাত্র ছয়টি আসনে ছাড় পায় এবং জয় পায় মাত্র দুটো আসনে। রাশেদ খান মেনন ও জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা এ কে এম রেজাউল করিম ছাড়া সবাই হেরেছেন। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও