ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতাহীন উন্নয়ন টেকসই হয় না

জাগো নিউজ ২৪ অধ্যাপক আব্দুল বায়েস প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২৫, ১২:৩৭

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অভ্যুত্থানটি ঘটে গেল ২০২৪ সালের জুলাই– আগস্ট মাসে। ছাত্র -জনতার প্রবল প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ থেকে জন্ম নেয়া এই অভ্যুত্থানের কারণে বিগত পনেরো বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা একটা সরকার বিদায় নিতে বাধ্য হয়। অথচ বিগত সরকারের আমলে বাংলাদেশের অর্থনীতিক প্রবৃদ্ধির প্রশংসা আসতো খ্যাতিমান দেশি -বিদেশি গবেষক এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান থেকেও।


কেউ বলতো বাংলাদেশের উন্নয়ন নাকি ‘উন্নয়ন ধাঁধা’ (ডেভেলপমেন্ট পাজল), কেউ বাংলাদেশকে সাব্যস্ত করতো উন্নয়নশীল দেশের ‘রোল মডেল’ হিসাবে। স্বভাবতই এসব অভিধার ঝরনাধারায় সেই সময়ের সরকারের তুষ্টি ছিল তুঙ্গে– উন্নয়নের তথাকথিত মহাসড়কে নাকি বাংলাদেশ । কিন্তু এক পর্যায়ে সেই উন্নয়ন ধাঁধা এক গোলকধাঁধার উন্মেষ ঘটিয়ে ‘বিপ্লব’ ঘটালো । বলা চলে, এদেশের আপামর ছাত্র -জনতা বাংলাদেশের উন্নয়ন– বয়ান কে সরাসরি নাকচ করে দিয়ে সরকারকে সরে যেতে বাধ্য করলো। কিন্তু কেন?


ইংল্যান্ডের আলসটার ইউনিভার্সিটির প্রখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী এসআর ওসমানীর গবেষণালব্ধ বক্তব্য ‘ উন্নয়ন, ন্যায়বিচার এবং স্বাধীনতা’ সম্ভবত বলতে চায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন চাইলে এর নিয়ামকগুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা দরকার নইলে শত উন্নয়ন করলেও পেছনের খিড়কি দিয়ে পালাতে হতে পারে। উন্নয়ন ঘটা মানেই স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত নয় বরং স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার থাকলে উন্নয়ন নিশ্চিত স্বয়ংক্রিয়ভাবে ধরা দেয়।


দুই.


উন্নয়ন, ন্যায়বিচার , এবং স্বাধীনতা বলতে কী বুঝায়? সাধারণ উপলব্ধিতে উন্নয়ন হল নিরেট অর্থনৈতিক ব্যাপার তথা মানুষের বস্তুগত জীবন-মানের উন্নতি। প্রসঙ্গত প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের মাঝে পার্থক্যটুকুও জানা দরকার– প্রথমটি নির্দেশ করে নেহাত উৎপাদন বা আয় বৃদ্ধি , দ্বিতীয়টি হচ্ছে প্রবৃদ্ধি প্লাস অর্থাৎ প্রবৃদ্ধির সাথে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি।


যাই হোক, গেল শতকগুলোতে উন্নয়ন চিন্তকগণ এই ধারণা বিপুল বিবর্তন ঘটিয়েছেন কিন্তু তারপরও অদ্যাবধি তা বিবেচিত হচ্ছে রাজনৈতিক অর্থনীতির অংশ হিসাবেই (পলিটিক্যাল ইকোনমি ) । অপরদিকে, ন্যায়বিচার ন্যস্ত রয়েছে নীতিবিদ্যার অঙ্গ হিসাবে (এথিকস)- পক্ষপাতহীনতা এবং অধিকারবোধ ধারণার খুব কাছাকাছি এর অবস্থান।


খুব সংক্ষেপে বলতে গেলে, ন্যায়ানুগ হওয়া মানে সকলকে সমান চোখে দেখা এবং অন্যদের অধিকারের প্রতি সন্মান প্রদর্শন করা। একটা ন্যায়সঙ্গত সমাজের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো নাগরিকের অধিকার, স্বাধীনতা , সম্পদ এবং সুযোগ বিতরণে নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করে থাকে। মোট কথা, উন্নয়নের এলাকা হলো রাজনৈতিক অর্থনীতি, ন্যায়বিচার বাস করে নীতিশাস্ত্রে এবং স্বাধীনতার রাজ্য রাজনীতি।


তিন.


তবে লক্ষণীয় যে এই তিনটি দর্শন পৃথক বৈশিষ্ট্যময় হলেও এরা একে অপরের সাথে অত্যন্ত গভীরভাবে গ্রথিত, সম্পৃক্ত এবং সংযুক্ত । বস্তুত বিভিন্ন বিন্দুতে তাদের পথের মিলন ঘটে যার ফলে একটির উপর অন্যটির বা অন্য দুটির প্রভূত প্রভাব প্রতিফলিত হয়। এই আন্তঃসংযোগের পরিণাম হচ্ছে অন্য দুটির সহায়তা ছাড়া যেকোনো একটি লক্ষ্য অর্জন চরমভাবে অপূর্ণ থাকে। কাজেই কোনো একটি লক্ষ্য অর্জনকল্পে একই সাথে তিনটির দিকে তির তাক না করতে পারলে লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও