You have reached your daily news limit

Please log in to continue


জাতীয় নির্বাচন ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য একটি সময় ঘোষণা করা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণের সময় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই সম্ভাব্য সময়ের কথা জানান। তিনি সেদিন বলেছেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রমজান শুরুর আগেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যদিও তিনি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করেননি, তারপরেও সম্ভাব্য এই সময় ঘোষণা করার কারণে দেশের বিরাট জনসংখ্যার মধ্যে এক ধরনের আনন্দ উচ্ছ্বাস বয়ে যাচ্ছে।

নির্বাচনের বিষয়ে এই ঘোষণায় বলা যায় বাংলাদেশের অনেক রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কেটে যেতে শুরু করেছে। গত একটি বছরের টালমাটাল রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহে যে অস্থিরতা বিরাজ করছিল, যে ধরনের সম্ভাব্য সংকট আসতে পারতো তার অনেক কিছুই এখন মুছে গেল বা বন্ধ হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা গত বৃহস্পতিবার ৭ জুলাই সচিবালয়ের মন্ত্রী পরিষদ কক্ষে উপদেষ্টাদের বৈঠকে বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার প্রথম ধাপ শেষ করে দ্বিতীয় ধাপে পা রেখেছে। এখন দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানই মূল কাজ।

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আছে ৮ লাখ, সেটা আরো ৫০ হাজার বাড়ানো হবে। নির্বাচনে ৬০ হাজার সেনাবাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করে, এ সংখ্যাও বাড়ানো হবে।

প্রেস সচিব আরো জানান, বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো। অন্তর্বর্তী সরকারের দেশ পরিচালনার জন্য সেনাবাহিনী এখনো মাঠে মোতায়েন রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মাঠ প্রশাসন যাদের সঠিকভাবে কাজ করে সে ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রেস সচিব বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা এটাই ছিল যাতে উপদেষ্টারা নিজেদের জায়গা থেকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কাজ করেন।

এদিকে, ৫ আগস্ট জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেয়ার পরদিনই প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, দেশ আজ থেকে নির্বাচনের ট্রেনে যাত্রা শুরু করেছে। তার মানে হচ্ছে দেশে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে এবং গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেছেন, আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। এ সংক্রান্ত তাদের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

এ কথা খুবই পরিষ্কার যে, গত বছরের ৫ আগস্ট তুমুল গণ আন্দোলনের মুখে হাসিনা সরকারের পতনের পরপরই দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রশ্ন তৈরি হয়। শেখ হাসিনার আমলে যে তিনটি নির্বাচন হয়েছে তার একটিও গ্রহণযোগ্য হয়নি। সে প্রেক্ষাপটে দেশের তরুণ প্রজন্মের ভোটারদের অধিকাংশই আজ পর্যন্ত নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। এছাড়া, জাতীয় নির্বাচনগুলো একচেটিয়া নিজেদের মতো করে সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা তার স্বৈরাচারী শাসন-শোষণ অব্যাহত রেখেছিল। তার সরকারের পতনের পর দেশের জনগণের সিংহভাগের ভিতরে নির্বাচনের একটি আকাঙ্ক্ষা জেগে ওঠে।

এই প্রেক্ষাপটে নির্বাচন ছাড়া এক বছর পার হওয়াটাই অনেক বেশি। তারপরও শেষ পর্যন্ত যে নির্বাচনের ঘোষণা এসেছে সেটা অবশ্যই সাধুবাদ পাবার যোগ্য। বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি-সহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল সাধুবাদ জানিয়েছেও। নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করার পর নির্বাচনের জন্য উন্মুখ লোকজন নির্বাচনী উচ্ছ্বাস ফিরে পেয়েছে। তবে চলমান বাস্তবতায় বেশ কিছু ঝুঁকি ও সংকট রয়েছে। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য এই বাস্তব ঝুঁকি ও সংকটকে মাথায় নিয়ে সামনে এগোতে হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন