You have reached your daily news limit

Please log in to continue


মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা : বাংলাদেশ যা করতে পারে

মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সাথে কিছুদিন ধরে সেই দেশের সশস্ত্র বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। বিষয়টি ততক্ষণ পর্যন্তই তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হবে, যতক্ষণ এর আঁচ এসে অপর দেশের ভূখণ্ডে না পড়বে।

অবশ্য মতান্তরে এটাও বলা সঙ্গত যে যুগের পর যুগ ধরে সামরিক শাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট মিয়ানমারের সাধারণ মানুষের মানবাধিকার রক্ষার দায়িত্বও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এড়াতে পারে না এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়, বিশেষত জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সামরিক শাসনের লাগাম টেনে ধরার ব্যর্থতা এবং নিরীহ মানুষের মানবাধিকার রক্ষার মতো বিষয়গুলো যত দীর্ঘ সময় ধরে উপেক্ষিত থাকে, এর একপর্যায়ে আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার বিষয়টি মারাত্মকভাবে উপেক্ষিত হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে বাংলাদেশের নিরাপত্তা শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বান্দরবানের নাইক্ষাংছড়ি সীমান্তে সৃষ্ট এই উত্তেজনা অগ্রহণযোগ্য, কেননা একটি সার্বভৌম দেশের সীমানার ভেতর উপর্যুপরি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের রেশ এসে পড়বে, এটি আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আর তার জন্য সামগ্রিকভাবে আমাদের জাতীয় স্বার্থের নিরিখে বিষয়টি দেখার প্রয়োজন রয়েছে।

এটি এবারই যে প্রথম ঘটেছে তা নয়, বছরখানেক আগেও এই ধরনের উত্তেজনার রেশ এসে পড়ে আমাদের দেশের অভ্যন্তরে। সেইসময় একাধিক বাংলাদেশি নিহত হয়েছিলেন সেই দেশের যুদ্ধরত বাহিনীর ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে। তারও অনেক আগে থেকেই এসব উত্তেজনার রেশ ধরে কয়েকদশক ধরে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর এক বিশাল সংখ্যা আশ্রয় নিয়েছে আমাদের দেশে। আজ পর্যন্ত তাদের এই ধরনের সমস্যা দ্বারা সৃষ্ট আমাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা এবং নিরাপত্তাহীনতার বিষয়গুলো সমাধানে কোনো ধরনের কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক মন্তব্যে বলেছেন, মিয়ানমারে চলমান সংঘাত তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়, বাংলাদেশের সাথে তাদের কোনো বিরোধ নেই। তা নিয়ে একাধিকবার বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে আমাদের উদ্বেগের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এর ফলে পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়েছে বা হচ্ছে তার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না, বরং একসপ্তাহ সময়ের মধ্যে এই উত্তেজনার ফলে মিয়ানমার সীমান্ত থেকে আসা মর্টার শেলের আঘাতে ৩ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।

এই ধারাবাহিকতায় বিষয়টি কি আসলেই এখনো মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সীমাবদ্ধ রয়েছে কি না তা সরকারের সংশ্লিষ্টদের জন্য ভেবে দেখা জরুরি। মিয়ানমারের সামরিক জান্তা কতটুকু নিষ্ঠুর হলে সেই দেশের মানুষের ওপর চরম দমন-পীড়ন চালিয়ে যেতে পারে এর একটি উদাহরণ হচ্ছে ২ জন বিদ্রোহীকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন