দুর্নীতি বন্ধে যা করণীয় তা কি কেউ করছে?

ঢাকা পোষ্ট সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৮

দুর্নীতি বাড়ছে এবং বাড়তে বাড়তে সহনীয় ও স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে। আমরা সবাই জানি, সরকারও জানে এবং বিশ্ববাসীও জানে যে, দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবনমন অব্যাহত। পরিস্থিতি খারাপ থেকে অধিক খারাপের দিকে অগ্রসরমান। কেন দুর্নীতি বাড়ছে তার সবিস্তার ব্যাখ্যার চেয়ে এইটা বলাটা ভালো যে বৃহত্তর পরিসর থেকে ক্ষুদ্রতর পরিসর, সর্বত্রই দুর্নীতির ছায়া ক্রমপ্রসারণশীল।


এবার নির্বাচনের আগে শাসক দল আওয়ামী লীগ যে ইশতেহার প্রকাশ করেছে সেই জায়গায় দুর্নীতিকে একটি বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং এর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা উচ্চারণ করেছে। নির্বাচনের পরও মন্ত্রীরা দুর্নীতি বিরোধী কথাবার্তা বলছেন।


২০১৮ সালে তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে ২০১৯ সালে এক নজিরবিহীন দুর্নীতি বিরোধী অভিযান শুরু করেছিল আওয়ামী লীগ। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ক্যাসিনো ও জুয়ার আড্ডা চালানোর মতো কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে দলীয় নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখছিল দেশবাসী।


সেই অভিযানকে ইতিবাচক হিসেবে দেখেছিল মানুষ। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সেই অভিযান সফল হয়নি। বেশিদিন তা পরিচালিত হয়নি এবং যাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল তারা একে একে বীরদর্পে বের হয়ে আসে জেল থেকে, কয়েকজন ছাড়া।


দুর্নীতি মানে কি শুধু মদ, মাদক, জুয়া আর চাঁদাবাজি? প্রকল্প কেলেঙ্কারির মতো বড় দুর্নীতির কথা আমরা কতটুকু জানতে পারি? সরকারি বড় বড় কেনাকাটায় কত কী ঘটে তার কতটুকু প্রতিকার হয়? বলতে গেলে জনজীবনের প্রত্যন্ত স্তরে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে।


কর পরিশোধ, বিদ্যুৎ বিল, গ্যাসের বিল, গাড়ির ফিটনেস ও লাইসেন্স নবায়ন, বিভিন্ন ফিসহ নাগরিক সেবার প্রতিটি কাজে ঘুষ দিতে হয়। এই ছোট ছোট দুর্নীতি মানুষকে আচ্ছন্ন এবং অভ্যস্ত করেছে। নীতিনির্ধারক ও ক্ষমতাবানরা বড় দুর্নীতিকে আড়াল করা ও বৈধ করার সব পথ বানিয়ে রেখেছে। তো এমন একটি ব্যবস্থায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স জিনিসটা কী সেইটাই বড় প্রশ্ন।


এরপরও দুর্নীতি-বিরোধী অবস্থানের সমর্থনে দেশের মধ্যবিত্ত সমাজ অভ্যাসবশত আলোড়িত হয়। কিন্তু তারা বুঝতে পারেন না যে, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতির সঙ্গে একটি বোঝাপড়া নিজেরাই করে নিয়েছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও