দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, দুর্নীতি রোধ অগ্রাধিকার পাক

জাগো নিউজ ২৪ ড. মতিউর রহমান প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩৬

৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জয়ী হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতুত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে। বিগত তিন মেয়াদে শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত খাতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছে। উন্নয়নের এই সুফলভোগী সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা এবার আরো অনেক বেশি। জনগণের প্রত্যাশা শেখ হাসিনা সরকার এবার তাদের দৈনন্দিন জীবনের দুর্ভোগ লাঘবে জোর দিবেন এবং সেইসাথে বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট সোনার বাংলা হিসাবে গড়ে তুলবেন।


গত কয়েক বছরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ক্রমবর্ধমান দাম সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। সুতরাং, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ক্রমবর্ধমান দাম নিয়ন্ত্রণ করা শেখ হাসিনা সরকারের এই মেয়াদে অগ্রাধিকার হিসেবে দাঁড়িয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া দাম একটি প্রবল প্রভাব তৈরি করে, যা জীবনযাত্রার সামগ্রিক ব্যয়কে প্রভাবিত করে।


অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের দেয়া প্রতিশ্রুতি অবশ্যই মূল্যস্ফীতি এবং মূল্যবৃদ্ধি রোধে কৌশলগত পদক্ষেপের দ্বারা পরিপূরক হতে হবে। জনসাধারণের উপর আর্থিক চাপ কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে কার্যকর মূল্য নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন, সরবরাহ শৃঙ্খল নিরীক্ষণ এবং মজুদদারী রোধ করে দ্রব্য মূল্য স্থিতিশীল রাখতে হবে।


মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণকে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকার জনগণের কল্যাণে তার অঙ্গীকার প্রদর্শন করতে পারে। মূল্যবৃদ্ধিরোধে সরকারের সক্রিয় প্রচেষ্টা শুধুমাত্র নাগরিকদের ক্রয় ক্ষমতাকে উন্নীত করে না বরং সামাজিক স্থিতিশীলতা ও সম্প্রীতিও বৃদ্ধি করে। দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধিরোধকল্পে সরকারের গৃহীত কর্মসূচি জনগণের তাৎক্ষণিক উদ্বেগের সাথে অনুরণিত হয়, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং দায়িত্বশীল শাসনের প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতিকে শক্তিশালী করে। উন্নয়নের সুফল প্রতিটি ঘরে পৌঁছানো নিশ্চিত করা একটি স্থিতিস্থাপক ও সমৃদ্ধশালী সমাজকে গড়ে তোলার কেন্দ্রবিন্দু।


রাষ্ট্রের সকল স্তরে দুর্নীতি দমন করা সরকারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আবশ্যিকতা। দুর্নীতি শুধু জনগণের আস্থাই নষ্ট করে না বরং শাসনের দক্ষতা ও কার্যকারিতাও নষ্ট করে। সুশাসনের কাঠামোকে শক্তিশালী করতে, সরকারকে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের উপর জোর দিয়ে বহুমুখী পন্থা অবলম্বন করতে হবে।


শক্তিশালী দুর্নীতি বিরোধী পদক্ষেপ বাস্তবায়নের জন্য তদারকি ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা, সততার সংস্কৃতির প্রচার করা এবং দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাগুলির সক্ষমতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। বিদ্যমান দুর্নীতি বিরোধী আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং অন্যায়কারীদের দ্রুত বিচার এই দৃঢ় সংকেত দেয় যে, কোনো ভাবেই দুর্নীতির প্রতি নমনীয়তা দেখানো হবে না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও