পরিযায়ী পাখিরা যেন নিরাপদে থাকে

www.ajkerpatrika.com মৃত্যুঞ্জয় রায় প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৫১

প্রতিবছর দেশে শীত আসে আর শীতের সঙ্গে সঙ্গে আসে অনেক পরিযায়ী পাখি। এসব পাখি আমাদের দেশের নয়, অনেক দূর দেশ থেকে তারা এ সময় উড়ে আসে একটু আশ্রয় ও খাদ্যের আশায়। বিশেষ করে যেসব দেশে শীতের তীব্রতা খুব বেশি, খুব ঠান্ডায় যেখানে পাখিদের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে, খাবার থাকে না, সেই সব দেশ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির লাখ লাখ পাখি আমাদের দেশে চলে আসে।


এ জন্য কোনো কোনো পাখির হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিতে হয়। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস তাদের উড়তে হয়। কখনো কখনো এমন দূর দেশ থেকে তারা আসে যে, সেখান থেকে উড়ে আসতে আসতেই পথে তাদের প্রায় তিন মাস সময় লেগে যায়। কিছুদিন এ দেশে থাকার পর আবার নিজ বাসভূমে ফিরে যেতে হয়। ফিরে যেতেও আবার সেই তিন মাস তাদের উড়তে হয়। তার মানে, কোনো কোনো পাখির বছরে ছয় মাস শুধু উড়েই কাটাতে হয়। দূর দেশ থেকে উড়ে আসা এবং কিছু সময়ের জন্য অতিথি হয়ে এ দেশে থাকা এসব পাখি আমাদের কাছে পরিযায়ী হিসেবেও পরিচিত।


পৃথিবীতে প্রায় ১০ হাজার প্রজাতির পাখি আছে। এর মধ্যে গবেষকেরা ১ হাজার ৮৫৫ প্রজাতির পাখিকে পরিযায়ী পাখি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রায় ৩০০ প্রজাতির পরিযায়ী পাখি আসে বলে পাখিবিশারদ ইনাম আল হক বলেছেন। এসব পরিযায়ী পাখির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো হাঁস, রাজহাঁস, কালেম, ডাহুক, ছোট সরালি, খঞ্জনা, চটক, মাঠ চড়ুই, কসাই পাখি, গাঙচিল, নীলশির, রালশির, কালো হাঁস, লেঞ্জা হাঁস, খুদে গাঙচিল, কুন্তি হাঁস, জিরিয়া হাঁস, চখাচখি, বালি হাঁস, বড় সরালি, কালি বক, জলময়ূর, ডুবুরি, কোপা ডুবুরি, ছোট পানকৌড়ি, বড় পানকৌড়ি, কালো কুট, কাদাখোঁচা বা চ্যাগা, জালের কাদাখোঁচা, ছোট জিরিয়া, বাটান, চা পাখি, গঙ্গা কবুতর, সবুজ পা, লাল পা, পিউ, রাজ সরালি, পিন্টেল, পাতি সরালি, সাদা বক, দলপিপি, পানমুরগি, কাস্তেচড়া, বেগুনি কালেম, পানকৌড়ি, ইগল, পিয়াং হাঁস, ভুতি হাঁস, ধুল জিরিয়া ইত্যাদি। প্রতিবছরই দুবার এরা এ দেশে আসে। শীতেই সবচেয়ে বেশি পাখি আসে।


এক তথ্যমতে, বাংলাদেশে মোট ৩১৬ প্রজাতির পাখি প্রতিবছর আসে, যার মধ্যে ২৯০ প্রজাতির পাখি আসে শীতে। অক্টোবরের শেষ বা নভেম্বর থেকে এদের আগমন ঘটে এবং মার্চে তারা চলে যায়। শীতে আসে, বসন্তে বিদায়। এই অল্প সময়ের জন্য ওরা আসে আমাদের কাছে বন্ধুর মতো।


এসব পাখি প্রধানত আসে আমাদের উত্তরের দেশগুলো থেকে। বিশেষ করে হিমালয়, সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া, চীনের জিনজিয়ান, ইউরোপ প্রভৃতি অঞ্চল যখন শীতের দাপটে বরফে ঢেকে যায়, তখন সেখান থেকে এসব পাখি উড়াল দেয়। তারা জানে যে কখন তাদের কোন দেশে আশ্রয়ের জন্য যেতে হবে। তাই ওড়ার আগে তারা তাদের পাখার নিচে অধিক চর্বি জমা করে। মাইলের পর মাইল তারা উড়ে চলে সেই সঞ্চিত চর্বির শক্তিতে। এদের পরিযায়ন স্বভাবটাও বেশ অদ্ভুত। সাধারণত ওরা দল বেঁধে আসে। যেখানে ওরা একবার আসে, সাধারণত সেই সব জায়গাতেই পরের বছরগুলোতে আসার চেষ্টা করে। সব সময় একই পাখি হয়তো আসে না। তবে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অবশ্যই কিছু পূর্ব অভিজ্ঞ পাখি থাকে, যারা ওড়ার সময় ঝাঁকের সামনে থাকে এবং পথ নির্দেশ করে। তাদের দেহে অসাধারণ এক সংবেদ ও সাড়া প্রদান কৌশল আছে, যা দিয়ে তারা এই শত শত এমনকি হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে ঠিকই পূর্বের স্থানে আসতে ও ফিরে যেতে পারে। যাত্রাপথের আকাশ, নক্ষত্র, পাহাড়, নদনদী, নব

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও