রিজার্ভের এই পতনের ধারা খুবই বিপজ্জনক

প্রথম আলো ড. মইনুল ইসলাম প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০২৩, ২৩:০৪

৫ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার ‘গ্রস রিজার্ভ’ ২০.৯০ বিলিয়ন ডলার এবং নিট রিজার্ভ ১৭ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন এতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এই পতনের ধারা অব্যাহত থাকলে রিজার্ভ শূন্যেও নেমে আসতে পারে।


বাংলাদেশ সরকার দাবি করেছিল যে ২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮.০৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে গিয়েছিল, কিন্তু আইএমএফ সরকারের ওই দাবি মানেনি। তাদের দাবি ছিল, ঘোষিত ওই রিজার্ভ থেকে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের মাধ্যমে দেওয়া সাড়ে সাত বিলিয়ন ডলার বাদ দিতে হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ রিজার্ভ থেকে শ্রীলঙ্কাকে যে ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে, তা-ও বাদ দিতে হবে। আরও বাদ দিতে হবে রিজার্ভ থেকে পায়রা বন্দরের রামনাবাদ চ্যানেল খনন এবং বাংলাদেশ বিমানকে বিমান কেনার জন্য দেওয়া ঋণ।


দীর্ঘ দুই বছর বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকারের শীর্ষ নেতৃত্ব আইএমএফের আপত্তির ধার ধারেননি। এখন আইএমএফের ঋণ ৪.৭০ বিলিয়ন ডলারের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার শর্ত পূরণের উদ্দেশ্যে গত জুলাই মাসে রিজার্ভ হিসাব করার সর্বশেষ পদ্ধতি বিপিএম-৬ মেনে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।


পুরোনো বিপিএম-৫ পদ্ধতি অনুসরণে যে ‘ইনফ্লেটেড বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ’ দেখানোর খামখেয়ালিপনায় পেয়ে বসেছিল, তার ফলে গত দুই বছরে বেশ কয়েকটি অবিমৃশ্যকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রচলিত নিয়ম অনুসরণ করলে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের ঋণ, পায়রা বন্দরের চ্যানেলের খননকাজ এবং বাংলাদেশ বিমানের বিমান কেনার জন্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে সরকারের ঋণ দেওয়ার কোনো যুক্তি থাকার কথা নয়।






সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও