৩৩,০০০ শিক্ষক ‘অনাহারে’ থেকে ছাত্র পড়াবেন কীভাবে

প্রথম আলো মো. তৌহিদ হোসেন প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০২৩, ১৪:০২

১১ জুলাই থেকে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনে যান বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলের এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা। ১৬ জুলাই থেকে স্কুল বন্ধ করে ক্লাস নেওয়া থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। তাঁদের দাবি মাধ্যমিক শিক্ষার জাতীয়করণ, যাতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের সমান বেতন-ভাতা, পেনশন সুবিধাদি পান এবং শালীন জীবন যাপন করতে পারেন। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষকেরা যদি টিকে থাকতে না পারেন, তাহলে তাঁরা কীভাবে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করবেন। 


শিক্ষকদের আন্দোলনের মূলে


শিক্ষকদের দাবির পটভূমি মূলত তিনটি বিষয়ে বৈষম্য: সরকারি শিক্ষকদের বাড়িভাড়া বেতনের ৪৫ শতাংশ, যেখানে এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা পান মাত্র ১০০০ টাকা; বেতনের ১০০ শতাংশ উৎসব ভাতা পান সরকারি শিক্ষকেরা, এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা পান মাত্র ২৫ শতাংশ; চিকিৎসা ভাতা এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা পান মাত্র ৫০০ টাকা, যেখানে সরকারি শিক্ষকেরা পান ১ হাজার ৫০০ টাকা। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পেনশন সুবিধা নেই।


শিক্ষকদের এই দাবি যৌক্তিক এবং সাধারণভাবে এর পক্ষে নাগরিক সহানুভূতিও আছে। প্রথাগতভাবে সরকারের পক্ষ থেকে কিছু আশ্বাস, কিছু ষড়যন্ত্রতত্ত্ব, কিছু কমিটি গঠন ইত্যাদি করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু শিক্ষকেরা তাতে সাড়া দেননি। একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ না পেলে আমরণ অনশনের হুমকি দেন তাঁরা।


প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ অবশ্য হয়নি। তবে ২ আগস্ট বৈষম্য দূর করার নীতিগত সিদ্ধান্ত এবং সরকার গঠিত কমিটিতে শিক্ষক প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনের ইতি টেনে শ্রেণিকক্ষে ফিরে যান শিক্ষকেরা। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও