স্বয়ংসম্পূর্ণতায় আছি, স্বয়ংসম্পূর্ণতায় নেই
গেল ঈদের সময়টায় আমরা কাঁচা মরিচের রেকর্ড দাম নিয়ে যারপরনাই বিরক্ত ছিলাম। এর দাম এখনও স্বাভাবিক হয়নি, যদিও ভারত থেকে আমদানির ব্যবস্থা হয়েছিল। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, ভারতেও কাঁচা মরিচের দাম বেশি বলে সস্তায় আমদানির যেসব খবর প্রচার হয়েছিল—বাস্তবতা তেমন নয়। কাঁচা মরিচে উল্লেখযোগ্য কর-শুল্ক আরোপিত এবং পরিবহন আর শ্রমিক ব্যয়ও কম নয়। এসব কারণে দাম খুব কমার সুযোগ নেই। তবে আমদানি দ্রুততর করা গেলে সরবরাহের চাপে দাম কমে আসাও সম্ভব। অনেকে অবশ্য তখন থেকে বলছেন, কাঁচা মরিচ না খেয়ে শুকনা মরিচ খেলে কিংবা কিছুদিন কষ্ট করলেই তো হয়ে যায়! শুকনা মরিচের দামও কিন্তু চড়া।
কোরবানি ঈদের আগ দিয়ে প্রায় সব মসলার বড় দাম বৃদ্ধি নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছিল। তখন একথাও হয় যে, আমরা কোন মসলা উৎপাদনে কী অবস্থায় আছি। কোনটি কতখানি আমদানি করতে হয়। দেখা গেল, পেঁয়াজ উৎপাদনেও আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ নই। এটা তাই বিপুল পরিমাণে আমদানি করতে হয়। এতে গোলমাল হলেই অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি মোকাবিলা করতে হয় ভোক্তাকে। এবার কাঁচা মরিচের অস্বাভাবিক দাম দেখে যারা এর খবর তেমন রাখতেন না, তারাও জানলেন—এ কৃষিপণ্যটিও আমরা যথেষ্ট উৎপাদন করতে পারি না। তাই এটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আমদানি করতে হয়। বর্ষার কয়েকটা মাস আমরা পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আনা কাঁচা মরিচের ওপর নির্ভরশীল থাকি।