গেস্টরুম নির্যাতন: ‘নাই’ বলে দিলেই কী ক্ষত মুছে ফেলা যাবে

প্রথম আলো মনোজ দে প্রকাশিত: ০১ জুলাই ২০২৩, ১৮:৫৯

পাখিগোত্রীয় হয়েও উড়তে অক্ষম উটপাখি মরুঝড়ের সময় বালুতে ঘাড় গুঁজে পড়ে থাকে। বাংলা কবিতায় রবীন্দ্রনাথের রোমান্টিকতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা ত্রিশের পাঁচ কবির একজন সুধীন্দ্রনাথ দত্ত। আধুনিক মানুষের জীবনের এই বৈশিষ্ট্য তিনি ধরতে চেয়েছিলেন উটপাখির রূপকে। সুধীন্দ্রনাথ তাঁর ‘উটপাখি’ কবিতায় আধুনিক মানুষদের উদ্দেশে মোক্ষম এক প্রশ্ন দিয়েছিলেন—অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ থাকে?


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য একজন শিক্ষক প্রতিনিধির ‘গেস্টরুম নির্যাতন’ নিয়ে দেওয়া বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করছেন। ভিডিওটা দেখে মাথার ভেতরে ‘অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ থাকে’—প্রশ্নটিই ঘুরছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও শিক্ষক নেতাদের ক্ষেত্রে উত্তরটি সম্ভবত হ্যাঁ বোধকই হবে।


বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে অধিবেশনে কী ঘটেছিল, তার চিত্র পাওয়া যায় ২১ জুন প্রথম আলোয় প্রকাশিত ‘“গেস্টরুম নির্যাতনের” কথা বলায় বক্তব্য এক্সপাঞ্জ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে। সেই প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ‘বিএনপিপন্থী সাদা দলের আহ্বায়ক লুৎফর রহমান অধিবেশনের বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোয় ‘গেস্টরুম নির্যাতন’ নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, হলগুলোয় গেস্টরুমে ছাত্রদের নির্যাতন করা হয়, বিরোধী মতের ছাত্রদের এখানে দাঁড়াতে দেওয়া হয় না। এই গণতন্ত্র ও মূল্যবোধ নিয়ে কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিশেষ মর্যাদা দাবি করা যায়, সে প্রশ্ন তোলেন তিনি।


‘গেস্টরুম নির্যাতন’ নিয়ে লুৎফর রহমানের দেওয়া বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করার দাবি জানান নীল দলের সাবেক আহ্বায়ক মো. আবদুস ছামাদ। অধ্যাপক লুৎফরের বক্তব্য নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিজামুল হক ভূঁইয়া ও শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ আবদুর রহিমও। রহিম বলেন, ‘অছাত্রদের হলে থাকার সুযোগ নেই। আমি একটি হলের প্রাধ্যক্ষের দায়িত্বে আছি। ছাত্ররা কেউ কখনো আমার কাছে অভিযোগ করেনি যে তারা হলে থাকতে পারছে না। অছাত্র-অপরাধীরা তো ক্যাম্পাসে আসতে পারার কথা নয়। হল নিয়ে ভুল স্টেটমেন্ট দেওয়া হচ্ছে।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও