তিনি পুলিশ কর্মকর্তা নাকি ‘লাটবাহাদুর’

প্রথম আলো রাফসান গালিব প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২৫, ২২:৪২

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম একটি স্লোগান ছিল—দেশটা কারও বাপের নয়। কিন্তু এত বড় একটা রক্তাক্ত গণ–অভ্যুত্থানের পরও যে দেশটাকে অনেকে এখনো নিজের ‘বাপের’ মনে করেন।


এক পুলিশ কর্মকর্তা নিজের কর্মস্থলে যেতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অতিব্যস্ত সড়ক আটকে রাখেন সকাল থেকে প্রায় দুপুর পর্যন্ত। রাতে ফিরতেও একই পরিস্থিতি দেখা যায়। তাঁর জন্য ফাঁকা রাখতে হয় আস্ত একটা উড়ালসড়ক!


প্রথম আলোর সরেজমিন প্রতিবেদন বলছে, এ কর্মকর্তা হলেন গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার মো. নাজমুল করিম খান। তিনি যেভাবে প্রটোকল ‘উপভোগ’ করেন, সেটি অনেকাংশে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে দেখা যেতো।


যে-ই ক্ষমতায় আসুক, এ দেশটাকে নিজের ‘জমিদারি’ মনে করার প্রবণতা আমরা শাসকগোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকে দেখে আসছি। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল।


শেখ হাসিনাকে ঘিরে যে পরিবারতান্ত্রিক জমিদারি গড়ে উঠেছিল, তারই অনুকরণে একই মডেলে জেলা-উপজেলায় আবার গড়ে উঠেছিল একেকটি ‘তালুক’। সংসদ সদস্য, তাঁর স্ত্রী-সন্তান-ভাইবেরাদররাই আসলে গোটা এলাকার সরকারি ক্ষমতাচর্চা ও রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতেন।


এসব জমিদারি ও তালুকের দাপটে নিষ্পেষিত হওয়া মানুষের মুখে এমন স্লোগানের জন্ম। জনগণের টাকায় সবকিছু করে, এমনকি নিজের বেতন ও সুযোগ–সুবিধাগুলোও জনগণের টাকায় ভোগ করে যখন বলা হয় ‘আমি বা আমরাই সব করেছি’, তখন এমন স্লোগান ওঠাই স্বাভাবিক।


তবে ‘রাজনৈতিক জমিদারি’র বাইরে আরেক জমিদারির চল সেই ব্রিটিশ আমলে থেকে চলে আসছে, সেটার কথা কতটা উচ্চারিত হয়? প্রশাসনিক বা আমলাতান্ত্রিক জমিদারি এখনো কতটা গভীরে প্রোথিত আছে, সেটিই যেন আমাদের আরও স্পষ্ট করে দিলেন জিএসপির ‘খান সাহেব’।


প্রথম আলোর সরেজমিন প্রতিবেদন বলছে, গাজীপুরের এই খান সাহেব থাকেন ঢাকায়। প্রতিদিন গুলশানের বাসা থেকে আসেন গাজীপুরে। ফেরেনও একইভাবে। যাওয়ার সময় টঙ্গীর কলেজ গেট এলাকায় উড়ালসড়ককে একমুখী করে দেওয়া হয়। এ সময় গাজীপুর থেকে ঢাকামুখী লেন বন্ধ হয়ে যায়। কমিশনারের ফেরার সময় একইভাবে একমুখী করে দেওয়া হয় গাজীপুরের ভোগড়া এলাকার উড়ালসড়ক। তখন গাজীপুরমুখী চলাচল বন্ধ থাকে। এ সময় ঢাকামুখী লেনে গাড়ির লম্বা লাইন তৈরি হয়।


কী সুন্দর চাকরি! সাধারণ মানুষকে কীভাবে সড়কে ও গণপরিবহনে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত নাকানিচুবানি খেতে হয়, তা উপলব্ধিই করতে হয় না এসব কর্তাদের। ফলে এ দেশের সড়কগুলো এমন নরকসম হবে না তো কোন দেশের হবে?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও