আইএমএফের ঋণে ডলার সংকট কতটা কাটবে
গত বছর সৃষ্ট ডলার সংকট পরিস্থিতি নতুন বছরের শুরুতেও উন্নতির আশানুরূপ কোনো সম্ভাবনা পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
ডলারের অভাবে এখনো ব্যবসায়ীরা প্রয়োজনীয় এলসি খুলতে পারছেন না। আমদানি মূল্য পরিশোধ করতে না পারায় বন্দরে আটকে আছে চিনি ও সয়াবিন পণ্যবাহী জাহাজ।
জনকল্যাণে গৃহীত বিভিন্ন সরকারি উদ্যোগও ডলার সংকটে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ইতঃপূর্বে সরকারের একাধিক কর্মকর্তা-প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নতুন বছরে সংকট নিরসনের আশা প্রকাশ হলেও এর কার্যকারিতা তেমন দৃশ্যমান নয়।
অর্থনীতিবিদরা উলটো পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন। রমজান সামনে রেখে জরুরি ভিত্তিতে সাতটি পণ্য আমদানিতে সহায়তা করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঘোষণার বিপরীতে ব্যবসায়ীদের এলসি সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংক ‘ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেল’ খুলেও পণ্য আমদানিতে প্রয়োজনীয় প্রায় আড়াইশ কোটি ডলারের সংস্থান সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে বলেন, ‘সমস্যা সমাধানে সবরকম পদক্ষেপ নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলোকেও এলসি নিয়ে কোনো সমস্যা থাকলে আমাদের জানাতে বলেছি। রেমিট্যান্স আসছে, রপ্তানি আয়েও ইতিবাচক ধারা রয়েছে। আশা করছি, সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি মিটে যাবে।’ উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের বাজার স্থিতিশীল রাখতে জুলাই-ডিসেম্বর ২০২২ সময়কালে ৭৮০ কোটি ডলার সরবরাহ করেছে।