অভয়াশ্রম গড়ে তুলি, দেশি মাছে দেশ ভরি

জাগো নিউজ ২৪ মো. সামছুল আলম প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০২৫, ১৭:২০

বাংলাদেশের মৎস্য খাত দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, পুষ্টি চাহিদাপূরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ খাত শুধু দেশের খাদ্য চাহিদা মেটাচ্ছে তা না, বরং আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেও বিশেষ অবদান রাখছে। বাংলাদেশে মৎস্য খাতের সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ উভয়ই রয়েছে। মৎস্য খাত সবচেয়ে উৎপাদনশীল এবং গতিশীল খাতগুলির মধ্যে একটি হওয়ায়, গত কয়েক দশক ধরে অর্থনীতিতে ধারাবাহিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ মৎস্য খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।


এই খাত আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতিতে ভবিষ্যতের উন্নয়নের জন্য সম্ভাবনার দাবি রাখে। মৎস্য খাতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২.৫৩ শতাংশ এবং ২০২৩-’২৪ অর্থবছরে (বিবিএস ২০২৪) সামগ্রিক কৃষি খাতে মৎস্য খাতের অবদান ২২.২৬ শতাংশ । জনসংখ্যার প্রায় ১২% বা প্রায় ২ কোটি মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য মৎস্য খাতের অধীনে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিযুক্ত। বাংলাদেশ মাছ, চিংড়ি এবং অন্যান্য মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি করে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে; যা মোট জাতীয় রপ্তানি আয়ের ০.৯১% অবদান রাখে (EPB- ২০২৪)। ২০২৩-’২৪ সালে বাংলাদেশ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন মাছ এবং মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি করে ৪,৫৩১.৮৬ কোটি টাকা আয় করেছে। এই খাতটি সমস্ত ব্যবহৃত প্রাণিজ প্রোটিনের (৬০%) প্রধান অংশ সরবরাহ করে।


তবে বর্তমানে নিরাপদ মাছ উৎপাদন ও দেশীয় মাছ রক্ষা করে তার সরবরাহ বৃদ্ধি করা একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উষ্ণতা, অনাবৃষ্টি ও অপর্যাপ্ত বৃষ্টি, সমুদ্রের পানির উচ্চতা এবং লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় মৎস্য সম্পদের ওপর ক্রমশ নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। নদীগুলোতে লবণাক্ত পানি অনুপ্রবেশের ফলে মিঠা পানির মাছ ও প্রাথমিক উৎপাদনশীলতায় পরিবর্তন ঘটছে। মাছের আবাসস্থল, বিচরণক্ষেত্র, অভিপ্রয়াণ ও প্রজনন প্রভাবিত হচ্ছে। জলবায়ুর ধারাবাহিক ক্রম অবনতির ফলে মাছের অনেক আচরণগত বৈশিষ্ট্যও পরিবর্তিত হচ্ছে। মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে মাছের প্রজাতি-বৈচিত্র্যেও।


এছাড়া ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমান্বয়ে নিচে নেমে যাওয়ায় পুকুর-দিঘীর পানির স্তর কমে যাচ্ছে। সারাবছর যে-সব পুকুরে পানি থাকতো সেসব পুকুর মৌসুমি পুকুরে (শুধু বর্ষায় পানি থাকে) রূপান্তরিত হচ্ছে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য আবাসস্থল,রাস্তা-ঘাট, বেরিবাঁধ ও শিল্পকারখানা নির্মাণ, পুকুর ও প্রাকৃতিক জলাশয় ভরাট করার ফলে আবাদি পুকুর ও প্রাকৃতিক জলাশয়ের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ফলে মৎস্য উৎপাদন তথা দেশীয় মাছ উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। বিশেষকরে জমিতে অতি মাত্রায় বালাইনাশক প্রয়োগ, পোনা ও ডিমওয়ালা মাছ নিধন এবং মাছের প্রজনন মৌসুমে নির্বিচারে মাছ ধরার কারণে এখন আর পরিচিত অনেক দেশি মাছের সন্ধান মেলে না। বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মোট ২৬১ প্রজাতির মিঠাপানির মাছ রয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও