মূল্যস্ফীতি কমাতে সরকারের কৌশল কী

প্রথম আলো সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:০৫

মূল্যস্ফীতিকে অর্থনীতিবিদেরা যে ‘নীরব ঘাতক’ বলে থাকেন তার যথার্থ যুক্তি রয়েছে। মূল্যস্ফীতির কারণে একদিকে নিত্যপণ্য ও সেবার মূল্য বেড়ে যায়, অন্যদিকে প্রকৃত আয় কমে যাওয়ায় খাদ্য-শিক্ষা-চিকিৎসার মতো অপরিহার্য ব্যয় থেকে কাটছাঁট করতে বাধ্য হন বেশির ভাগ মানুষ। মূল্যস্ফীতির প্রবণতা অব্যাহত থাকলে অনিবার্যভাবেই জীবনযাত্রার মান পড়ে যায়।


বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য থেকেই দেখা যাচ্ছে, গত মে মাসের পর মূল্যস্ফীতি ৯-এর নিচে নামেনি। উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই চাপে দেশের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষেরা যখন দিশাহারা, তখন জ্বালানি ও বিদ্যুতের মতো কৌশলগত পণ্যের ওপর ভর্তুকি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফলে দফায় দফায় বাড়ছে জ্বালানি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম।


নতুন বছরের শুরুতে বিদ্যুতের দাম এক দফা বাড়ার পর এ মাসের শুরুর দিনটাতে বিদ্যুতের সেবা মূল্য আরেক দফা বেড়েছে। একই দিনে রান্নার গ্যাস এলপিজির দাম একলাফে বেড়েছে ২৬৬ টাকা এবং শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের বাড়তি দাম কার্যকর হয়েছে। ফলে নতুন মাসের শুরুতেই ভোক্তার ঘাড়ের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মূল্যবৃদ্ধির বোঝা এসে চাপল। প্রশ্ন হলো অব্যাহত মূল্যস্ফীতিতে এমনিতেই চিড়েচ্যাপটা হওয়া নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা নতুন এই চাপ কতটা নিতে সক্ষম হবে?


বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব এরই মধ্যে বাজারে পড়তে শুরু করেছে। গত শুক্রবার প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, আগেই যেসব নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছিল, সরকারি সিদ্ধান্তে সেগুলোর দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে। সাধারণ মানুষের প্রোটিন ও পুষ্টির বড় উৎস ডিমের দাম যেমন চড়তে শুরু করেছে, তেমনি ব্রয়লার মুরগির দামও অনেকটা বেড়েছে। তেলাপিয়া, পাঙাশের মতো মাছ কিংবা অ্যাংকর ডালও সাধারণ ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।


ভরা মৌসুমেও শীতের সবজির দাম এখন অনেকের সাধ্যের বাইরে, আর কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও ভোজ্যতেলের দামও বেশ চড়া। মোটা চালের দাম স্থিতিশীল থাকলেও ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসের তুলনায় তা অনেকটাই বেশি। শুল্ক কমিয়ে আমদানির সুযোগ বাড়ানোর পরও চালের দাম কমেনি। এক বছরের ব্যবধানে আটার দাম বেড়েছে ৬৬ শতাংশ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও