প্রবীণের ক্যানসার ঝুঁকি ও করণীয়

www.ajkerpatrika.com হাসান আলী প্রকাশিত: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৯:৫৮

ক্যানসার সব বয়সে হতে পারে, তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। আবার পুরুষের চেয়ে নারীদের ঝুঁকি বেশি।পৃথিবীতে মানুষের মৃত্যুর দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ হলো ক্যানসার। সারা পৃথিবীতে প্রতিবছর প্রায় এক কোটি লোক ক্যানসারে মারা যায়।চিকিৎসায় শিশুর ক্যানসার নিরাময় প্রায় শতভাগ, যদি প্রাথমিক স্তরে রোগ নির্ণয় করা যায়। বাংলাদেশ শিশুর ক্যানসার চিকিৎসায় অনেক দূর এগিয়ে গেছে। প্রবীণদের যদি প্রাথমিক স্তরে ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব হয়, তবে আরোগ্য লাভের সম্ভাবনা অনেক বেশি। ক্যানসারের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়কে প্রাথমিক স্তর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তৃতীয় পর্যায় হলো লোকালি অ্যাডভান্স স্টেজ। চতুর্থ পর্যায় হলো, অ্যাডভান্স স্টেজ।


প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগ শরীরের যে অঙ্গে সৃষ্টি হয়, সেখানেই সীমাবদ্ধ থাকে। অপারেশন, রেডিয়েশন এবং ওষুধ সেবনের মাধ্যমে আরোগ্য লাভ করা সম্ভব হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ স্টেজে রোগীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় রোগীকে সুস্থ করা যায়, কিন্তু ক্যানসার পুরোপুরি নির্মূল করা যায় না। শুধু আয়ু বাড়ানো যায়। চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা প্রায় ৮৪ রকমের ক্যানসারের সন্ধান পেয়েছেন। আমরা স্তন, জরায়ু, প্রোস্টেট, লিভার, কোলন, ফুসফুস, রক্ত, কিডনি, থাইরয়েড ও মুখের ক্যানসারের কথা বেশি শুনতে পাই।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, বর্তমান বিশ্বে ক্যানসার যেভাবে থাবা প্রসারিত করেছে, তাতে ২০৩০ সাল নাগাদ প্রতি ১০ জনে ১ জনের ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।


ক্যানসারের কারণ বার্ধক্য, স্থূলতা, ঝুঁকিপূর্ণ যৌন সম্পর্ক, মানব প্যাপিলোমা ভাইরাস, ধূমপান, অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় গ্রহণ, বায়ুদূষণ, রেডিয়েশন, ভাজাপোড়া ও আগুনে ঝলসানো খাবার গ্রহণ, বংশের কারও ক্যানসার থাকলে।


ক্যানসারের লক্ষণগুলো হলো পায়খানার সঙ্গে রক্ত যাওয়া, ওজন কমে যাওয়া, বমি ভাব বা প্রচণ্ড বমি, দীর্ঘস্থায়ী কাশি, অবসাদ, শরীর টালমাটাল, অসহনীয় মাথাব্যথা, দীর্ঘদিন ধরে খাবারে অরুচি, ত্বকের পরিবর্তন, ঘন ঘন জ্বর, মলমূত্র ত্যাগের অভ্যাসের পরিবর্তন, শরীরের কোনো স্থানে চাকা থাকা।


ওপরের লক্ষণগুলো কারও মধ্যে দেখা গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ বা মতামত নিতে হবে। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসক নিশ্চিত হন ক্যানসার হয়েছে কি না। মেমোগ্রাম ও কোলোনস্কপি করে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা যাচাই করা যায়।সুস্থ জীবনচর্চা এবং নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ক্যানসার প্রতিরোধে বড় ধরনের ভূমিকা পালন করতে পারে।


ক্যানসার প্রতিরোধে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে।পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলমূল, শাকসবজি ও স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ।খাবারে কম লবণ এবং ভাজাপোড়া, ঝলসানো খাবার পরিহার করতে হবে। শরীরের কাঙ্ক্ষিত ওজন বজায় রাখা। নিরাপদ যৌন সম্পর্কে আবদ্ধ থাকা। ধূমপান না করা এবং ধূমপানের স্থান পরিহার করা। সপ্তাহের অধিকাংশ দিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হালকা বা মাঝারি ব্যায়াম করা। অ্যালকোহলজাতীয় পানীয় পান থেকে বিরত থাকা কিংবা চিকিৎসকের পরামর্শে পান করা। জীবনকে কর্মচঞ্চল করে তুলতে হবে। দৈনিক পাঁচ ঘণ্টার অধিক সময় ধরে স্মার্টফোন ব্যবহার করলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। কর্মস্থলে ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদানের বিষয়ে স্বাস্থ্য নিরাপত্তার নির্দেশনা অনুসরণ করা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও